আমাদের ভারত, ২১ সেপ্টেম্বর:বাঙালির রসনা তৃপ্ত হয় পাতে যদি থাকে,ভাপা ইলিশ,ইলিশের পাতুরি, ইলিশ পোলাও কিংবা ইলিশ ভাজা। ভোজন রসিক বাঙালির উদর তৃপ্তির সাথে তৃপ্ত হয় হৃদয়। কিন্তু একদল বিজ্ঞানীর গবেষণা বলছে রসনা তৃপ্তির সাথে করোনা সংক্রমনের ভয়াবহতা থেকেও সুরক্ষা দিতে পারে ইলিশ। গবেষকদের দাবি ইলিশ মাছের তেল করোনা সংক্রমনের ভয়াবহতা থেকে সুরক্ষা দিতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনসিন্যাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সম্প্রতি তাদের গবেষণাপত্রে সরাসরি ইলিশ মাছের নাম না বললেও করোনার প্রদাহরোধী যে বিশেষ খাদ্য উপাদানের কথা তারা বলেছেন তা সবচেয়ে বেশি রয়েছে ইলিশ মাছের মধ্যে।
সাম্প্রতিক সাইন্স অফ ফুড নামক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে সিনসান্যাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দাবি করেন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড করোনা রোগীর আইসিইউ নির্ভরতা অনেকটাই কমিয়ে দিতে সক্ষম। মার্কিন গবেষকদের মতে, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরের করোনা সংক্রমণ জনিত প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড খাওয়ার চেয়ে সরাসরি খাবারের মাধ্যমে এই উপাদান শরীরে যাওয়া অত্যন্ত উপকারী। টুনা, স্যামন, সার্ডিনের মত সামুদ্রিক মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকলেও তার রয়েছে সামান্য পরিমাণে। ইলিশ মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
বিশেষজ্ঞরা জানান ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের মধ্যে থাকা ইউপিএ ও ডিএইচএ অ্যাসিড আসল কাজটা করছে। ১ কেজি ইলিশ মাছের প্রায় ১২ শতাংশ এই দুই উপাদান থাকে। এই দুই অ্যাসিড এনজাইমের সঙ্গে মিশে দুটি প্রদাহরোধী উপাদান সৃষ্টি করে। মা শরীরে সংক্রমণজনিত প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সহ একাধিক স্বাস্থ্যসমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে বলে মত একাংশের বিজ্ঞানীদের। তবে করোনা রোগীদের আইসিইউ নির্ভরতা কমাতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড কতটা সক্ষম সেটা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের উপর নির্ভরশীল।