ছবি: গতকাল বিক্ষোভ সমাবেশে লকেট চট্টোপাধ্যা।
জে মাহাতো, ১৭ অক্টোবর: পূর্ব মেদিনীপুর পটাশপুরে বিজেপি কর্মীর পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এবার আর এসএসকেএম হাসপাতালে নয়, আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুনরায় ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ উচ্চ আদালতেরl এই আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজ শেখর মন্থা।
হাসপাতালে ময়না তদন্ত বিভাগের প্রধানকে দিয়েই এই ময়না তদন্ত করতে হবে বলে বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেনl পাশাপাশি উচ্চ আদালতের নির্দেশ, ময়নাতদন্ত ভিডিওগ্রাফি রেকর্ডিং করতে হবে এবং আগামী একুশে অক্টোবর আদালতে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবেl
জানা গেছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানার কনকপুর গ্রামের যুবক কিশোর ঘোড়ই কয়েক মাস আগে পাশের বাসুদেরপুর এলাকার গৌরাঙ্গ পাখুরিয়ার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যান। আগে থেকে ছেলে মেয়ের প্রেমছিলো বলে জানা যায়। মেয়ের বাড়ি থেকে পটাশপুর থানায় অভিযোগ করা হয়। ছেলের পরিবারের একমাত্র সদস্য মা-ও পালিয়ে যায়। দীর্ঘ খোঁজাখোঁজির পর মা ছেলেকে না পেয়ে পৃথক থাকা ছেলের কাকা মদন কুমার ঘোড়ইকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায় ২৬ শে সেপ্টম্বর। মদনবাবুর পরিবারের অভিযোগ, মদনকে পুলিশ হেপাজতে ব্যাপক মারধর করা হয়, তার জেরেই মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। পরিবার ও গ্রামবাসীর অভিযোগ, মেয়ের বাবা ও আত্মীরা ধনশালী হওয়ায় পুলিশ টাকা খেয়ে এই কাজ করেছে। জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে ছেলে ও তার কাকা বিজেপি করতো এমন কি খুব গরিব, মেয়ের পরিবার তৃনমুল করে এবং ধনী পরিবার তাই পুলিশকে কাজে লাগিয়ে এই জঘন্য কাজ করেছে। যদিও এই অভিযোগ মেয়ের পরিবারের ও তৃণমূলের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। বিজেপি কর্মী মদন ঘোড়াইকে পুলিশ লকআপে পিটিয়ে মারার অভিযোগ এবং প্রতিবাদে গতকাল কলকাতায় বিক্ষোভ মিছিল করেন লকেট চট্টোপাধ্যায় যা নিয়ে কলকাতায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়l