এলআইসির নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় চাকরি প্রার্থীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে নির্দেশ হাইকোর্টের

রাজেন রায়, কলকাতা, ১৬ আগস্ট: এলআইসির অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় এবার বেশ কিছু প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতেও নির্দেশ হাইকোর্টের।
এ দিন হাইকোর্ট জানিয়েছে, পরীক্ষা পাশের পরেও বায়োমেট্রিক কখনওই চূড়ান্ত তথ্য হতে পারে না। চাকরি প্রার্থীরা যাতে বঞ্চিত না হন জীবন বিমা কোম্পানিকে তাও দেখে সিদ্ধান্ত নিতে বললেন হাইকোর্টের বিচারপতি শুভাশীষ দাশগুপ্ত।

মামলাকারীর আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান, জীবন বিমা কোম্পানি (এলআইসি) তে ২৬৩ শূন্য পদে নিয়োগের জন্য গতবছর ১৭ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করে এলআইসি। এর মধ্যে বর্ধমান ডিভিশনের জন্য শূন্য পদের সংখ্যা ১০০, কলকাতা মেট্রোপলিটন ডিভিশনের জন্য শূন্য পদ ৬০ এবং কলকাতা সাব-আর্বান ডিভিশন এর জন্য শূন্যপদ ১০৩ জন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। গত বছর ৩০ অক্টোবর প্রথম পরীক্ষা হয় সারা রাজ্যে। ৪ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে ফাইনাল পরীক্ষা হয়। প্রথম এবং দ্বিতীয় পরীক্ষার ভিডিওগ্রাফি করা হয়, যেখানে বায়োমেট্রিক পরীক্ষা, এবং পরীক্ষার্থীর ফটো প্রুফ এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য ভিডিওগ্রাফি করে রাখা হয়।

চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। যেখানে চাকুরী প্রার্থী সুপর্ণা সাধুখা এবং সুরজিৎ পাল সহ অনেকেই সেই তালিকায় ছিলেন। ওই সকল সফল চাকরিপ্রার্থীদের মেডিকেল এবং ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সফল হয়। ১৮ জানুয়ারি এলআইসি জানায় তারা সকলেই নিয়োগ পত্র পাওয়ার যোগ্য। চাকরি প্রার্থীদের ট্রেনিংয়েও পাঠানো হয়। এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল।

কিন্তু চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীদের বায়োমেট্রিক এর জন্য ফের ডাকা হয়। তাদের জানানো হয়, বায়োমেট্রিক ম্যাচ করছে না, ফলে নিয়োগপত্র দেওয়া যাবে না। এলআইসির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুরজিৎ পাল, সুপর্ণা সাধুখাঁ। তাদের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরীর দাবি, চূড়ান্ত তালিকায় নাম থাকার পর কর্তৃপক্ষ তাদের বাদ দিতে পারেন না। কারণ তাদের পরীক্ষা নেওয়া বায়োমেট্রিক, ফটো আইডেন্টিটি সমস্ত কিছুই ভিডিওগ্রাফি করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।বায়োমেট্রিকই একমাত্র পরিচয় মাধ্যম হতে পারে না। সফল চাকরিপ্রার্থীরা হ্যান্ড রাইটিং এক্সপার্টকে দিয়েও পরীক্ষা করতে পারে কর্তৃপক্ষ। তার জন্য প্রস্তুত সফল চাকুরী প্রার্থীরা। যদিও জীবন বিমা কোম্পানির পক্ষের আইনজীবী জানান, বায়োমেট্রিক তাদের একমাত্র পদ্ধতি। সেই মামলাতেই এবার এই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *