আমাদের ভারত, ২৯ আগস্ট:কাকপক্ষীও টের পাবে না, অথচ দিনের আলোতেই পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসা যাবে। বৃহস্পতিবার জম্মুতে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এমনই সুড়ঙ্গের সন্ধান পেয়েছে বিএসএফ। এরপরই গোটা এলাকা জুড়ে অনুপ্রবেশ করতে আর কি কি বন্দোবস্ত করা রয়েছে তা খুঁজে বের করতেই অভিযান চালাচ্ছে সীমান্ত বাহিনী।
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার নিচে দিয়ে খোঁড়া হয়েছিল সুরঙ্গ। যাতে খুব সহজেই পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসা যায়। সুরঙ্গ যেখানে আবিষ্কৃত হয়েছে তার থেকে ৭০০ মিটার দূরে রয়েছে পাকিস্তানের বর্ডার পোস্ট গুলজার।
জম্মুর সাম্বা অঞ্চলে ভারতের দিকে ৫০ মিটার এগিয়ে আসা একটি টানেল বিএসএফের টহলদারী চলাকালীন নজরে আসে জাওয়ানদের। ঘটনার কথা জানতে পেরে বিএসএফের ডায়রেক্টর জেনারেল বাহিনীকে নির্দেশ দেন কাঁটাতারের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে। বিএসএফের বাহিনীর সুরঙ্গ পরিদর্শন করে। সেখানে পাকিস্তানের করাচির ছাপ দেওয়া প্লাস্টিকের তৈরি বালির বস্তা পাওয়া গেছে। সুরঙ্গটি অন্তত ২৫ ফুট গভীর।

বিএসএফ ও আইবির বিশেষ বাহিনী এরপরই গোটা এলাকা পরিদর্শন করে। তদন্তকারীদের অনুমান অনুপ্রবেশ, অস্ত্র ও নেশাদ্রব্য চোরাচালানের জন্যই এই সুড়ঙ্গটি তৈরি করা হয়েছে। বিএসএফ আধিকারিকরা বলছেন সুরঙ্গটি অনুপ্রবেশের মুখ পাক সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০০ মিটার দূরে অবস্থিত।
গত ২২ আগস্ট পাঞ্জাবে ভারত-পাক সীমান্তে ৫ অনুপ্রবেশকারীকে গুলি করে নিকেশ করে বিএসএফ জওয়ানরা। বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছিল তরন তারান জেলায় টহলদারীর সময় বিএসএফের জওয়ানরা হঠাৎই দেখে সীমান্ত পেরিয়ে ৫ অনুপ্রবেশকারী ভারতে ডুকছে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের বাধা দেওয়া হয়। অনুপ্রবেশকারীরা বাধা না মানলে গুলি চালানো হয়। তাতেই খতম হয়ে তারা। এই ঘটনার পর থেকেই সীমান্তে টহলদারি ব্যাপক হারে বেড়েছে।

