সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ৬ জুলাই: প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে স্বামীকে খুনের অভিযোগে গোপালনগর থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার স্ত্রী ও তার প্রেমিক। অভিযুক্ত স্ত্রীর নাম আল্পনা সর্দার ও তার প্রেমিক মধু হালদার। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার ন’হাটা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি জেরার মুখে স্বামীকে খুনের কথা আল্পনা স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সকালে। বনগাঁর গোপালনগর থানা এলাকার শিকারিপাড়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রফুল্ল মিস্ত্রি নামে এক ব্যক্তির দেহ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। তবে ঘটনার পর থেকে থেকে পলাতক ছিল তাঁর স্ত্রী। প্রফুল্লর পরিবার ছেলের মৃত্যুতে পুত্রবধূ আলপনাকে দায়ী করে গোপালনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে আল্পনা ও তার প্রেমিককে জালে আনে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, আল্পনাকে জেরায় অনেক তথ্যই উঠে এসেছে। আল্পনা প্রফুল্লর দ্বিতীয় স্ত্রী। আল্পনার প্রথম পক্ষের স্বামীর মৃত্যুর পর প্রফুল্লর, সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। অভিযোগ, আল্পনার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল গ্রামের মধু হালদারের। প্রফুল্ল তার প্রতিবাদ করতেন। তাই পথের কাঁটা সরিয়ে দিতে আল্পনা ও মধু একযোগে ষড়যন্ত্র করেই প্রফুল্লকে খুন করেছে বলে পুলিশ জানাচ্ছে।
এদিকে, প্রফুল্লর ছেলে প্রভাতের অভিযোগ, আল্পনা তার প্রথম পক্ষের স্বামীকেও বিষ খাইয়ে খুন করেছিল। এবার আল্পনার শিকার তার বাবা। প্রফুল্লকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর চোখে রড ঢুকিয়ে নৃশংস অত্যাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ প্রভাত মিস্ত্রির। মৃতের প্রথম পক্ষের স্ত্রীও মুখ খুলেছেন এই ঘটনায়। তাঁর অভিযোগের আঙুলও সরাসরি দ্বিতীয় স্ত্রী আল্পনার দিকেই। প্রতিবেশীরা সকলেই জানাচ্ছেন, তাঁরা আল্পনা-মধুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতেন। কিন্তু তার জেরে এভাবে প্রফুল্লকে প্রাণ হারাতে হবে, তা ভাবতেই পারেননি কেউ। খুনিদের কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা।