অশোক সেনগুপ্ত, আমাদের ভারত, ১৫ জানুয়ারি: ক্রন্দনরত অসহায় মহিলার কোলে তাঁর দিকে জিজ্ঞাসু চোখ মেলে তাকিয়ে ছোট্ট শিশু। সেই ছবি দিয়ে প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়ের মন্তব্যে সায় দিল নেটনাগরিকদের একাংশ।
সামাজিক মাধ্যমে তথাগতবাবু লিখেছেন, “শিশুটির মুখের ভাব দেখেছেন? আশ্চর্য হয়ে ভাবছে, মা কাঁদছে, কেন কাঁদছে, তাহলে আমার কী হবে? কিন্তু মা তো কোনো অপরাধ করেনি, একমাত্র হিন্দু হয়ে এক ইসলামী রাষ্ট্রে বেঁচে থাকার চেষ্টা ছাড়া! এই দেখে যদি চুপ থাকেন, অন্তত প্রতিবাদে মুখর না হন, তাহলে আপনার বাড়ির শিশুদের জন্যও এই ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে!”
পোস্ট করার পর প্রথম এক ঘন্টায়, সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে ৩৬৬ লাইক, ৫০টি মন্তব্য, ৩৬টি শেয়ার। আশিস নায়েক লিখেছেন, “একদল গবেট পণ্ডিত হিন্দু এসব নিয়ে কিছু ভাবেই না।” পি কে রায় লিখেছেন, “বড়ই করুন দৃশ্য। অথচ আমরা উদাসীন।” রঞ্জন দাস লিখেছেন, “চোখ থাকতে অন্ধ।”
গোবিন্দলাল ঘোষ লিখেছেন, “মমতাপন্থী জয় শেখ আনোয়ারের নেতৃত্ব একদল উন্মত্ত জনতা প্রাণঘাতী হামলা চালায় সনাতনী সাধুদের উপর।” অপর একটি পোস্টে গোবিন্দলাল লিখেছেন, “ব্যারাকপুরের সেনা ছাউনিতে কর্মরত অবস্থায় দুই পাকিস্তানী নাগরিক ধরা পরেন। এই পাকিস্তানের নাগরিকদের কাছে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাশ করা সার্টিফিকেট পাওয়া গেছে ওই দুই পাকিস্তানি নাগরিকের কাছে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাশ।”
সুমন কুমার সাহা যে মন্তব্যটি শেয়ার করেছেন, সেটি হল-
“১) আজান শেখের নেতৃত্বে ডায়মন্ড হারবার।
২) সিদ্দিকুল্লার নেতৃত্বে মঙ্গল কোট, মন্তেশ্বর তথা কালনা।
৩) আরাবুল এর নেতৃত্বে
ভাঙড়।
৪) হামিদুল রহমানের নেতৃত্বে চোপড়া।
৫) আবদুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে ইসলামপুর।
৬) মহম্মদ গুলাম রব্বানীর নেতৃত্বে গোয়াল পোখর।
৭) মিনহাজুল আরফিন আজাদের নেতৃত্বে চাকুলিয়া।
৮) মুশারফ হোসেন এর নেতৃত্বে ইটাহার।
৯) তোরাফ হোসেন মণ্ডল এর নেতৃত্বে কুমারগঞ্জ।
১০) তাজমুল হোসেন এর নেতত্বে হরিশ চন্দ্র পুর।
১১) রহিম বক্সী র নেতৃত্বে মালতীপুর।
১২) সাবিনা ইয়াসমিন এর বাহিনী মোথাবাড়ি।
১৩) মহম্মদ আব্দুল গনির নেতৃত্বে সুজাপুর।
১৪) মণিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ফরাক্কা।
১৫) আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সামশেরগঞ্জ।
১৬) জাকির হোসেন এর নেতৃত্বে জঙ্গিপুর।
১৭) আখরাজ্জুমান- এর নেতৃত্বে রঘুনাথগঞ্জ।
১৮) মোঃ আলীর নেতৃত্বে লালগোলা।
১৯) ইদ্রিস আলীর নেতৃত্বে ভগবানগোলা।
২০) সৌমিক হোসেন এর নেতৃত্বে রাণী নগর বিধান সভা।
২১) হুমায়ূন কবীর এর নেতৃত্বে ভরতপুর বিধান সভা।
২২) আলম চৌধুরী’র নেতৃত্বে রেজিনগর বিধানসভা।
২৩) হাসানুজ্জামান বাহিনীর নেতৃত্বে বেলডাঙা।
২৪) নিয়ামত শেখ- এর নেতৃত্বে হরিহরপুর বিধানসভা।
২৫) শাহীনা মমতাজ বেগম এর নেতৃত্বে নওদা বিধানসভা।
২৬) জাফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ডোমকল বিধানসভা।
২৭) আব্দুর রাজ্জাক এর নেতৃত্বে জলঙ্গি বিধানসভা।
২৮) নাসিরউদ্দীন আহমেদ এর নেতৃত্বে কালিগঞ্জ বিধানসভা।
২৯) রুকবানুর রহমান এর নেতৃত্বে ছাপড়া বিধানসভা।
৩০) কাজী আব্দুর রহমান এর নেতৃত্বে বাদুরিয়া বিধানসভা।
৩১) রফিকুর রহমানের এর নেতৃত্বে আমডাঙা বিধানসভা।
৩২) রহিমা মণ্ডলের নেতৃত্বে দেগঙ্গা বিধানসভা।
৩৩) হাজী নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে হারোয়া বিধান সভা।
৩৪) রফিকুল ইসলাম মণ্ডলের নেতৃত্বে বসিরহাট উত্তর বিধান সভা।
৩৫) শওকত মোল্লার নেতৃত্বে ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা।
৩৬) গিয়াসউদ্দিন মোল্লার নেতৃত্বে মগরাহাট বিধানসভা।
৩৭) মহম্মদ নওশাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ভাঙ্গর বিধানসভা।
৩৮) জাভেদ আহমেদ খানের নেতৃত্বে কসবা বিধানসভা।
৩৯) ফেরদৌসী বেগম এর নেতৃত্বে সোনার পুর উত্তর বিধান সভা।
৪০) আবদুলখালেক মোল্লার নেতৃত্বে মেটিয়াবুরুজ বিধানসভা।
৪১) ফিরহাদ হাকিম এর নেতৃত্বে মিনি পাকিস্তান থুড়ি কলকাতা পোর্ট এলাকা।
৪২) গুলশান মল্লিক এর নেতৃত্বে পাঁচলা বিধানসভা।
৪৩) ফিরোজা বিবির নেতৃত্বে পাঁশকুরা পশ্চিম বিধানসভা।
৪৪) হুমায়ূন কবীর এর নেতৃত্বে ডেবরা বিধান সভা।
৪৫) শেখ শাহনওয়াজ এর নেতৃত্বে কেতুগ্রাম।
এই ৪৫ জন মুসলিম বিধায়ক ছাড়াও পশ্চিম বাংলার প্রতিটি ব্লকে ব্লকে আরাবুল ছারাবুল এর মতো ভয়ানক ভয়ানক জিহাদিরা ঘাপটি মেরে বসে আছে সময় এবং সুযোগের অপেক্ষায়। পুলিশ আধিকারিক থেকে, চিকিৎসক, প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ জায়গায় থাকা মুসলিমরাও বসে আছে সুযোগের অপেক্ষাতেই।
তারা খুব ভালো করেই জানেন যে আমার আপনার পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়ার মত অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গ এখন নেই। মুখ্যমন্ত্রীর নিজের হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ অনেক দিন আগেই বেরিয়ে গেছে। সময় এসেছে এই কঠিন ও ভয়ঙ্কর সত্য উপলব্ধি করার ও মান্যতা দেওয়ার।
যে মূর্খ বাঙ্গালী হিন্দু ভিন্ন আদর্শবাদের দোহাই দিয়ে এই বাস্তবতা অস্বীকার করে তাদেরকে ক্যালকাটা কিলিং, নোয়াখালী দাঙ্গা ও অদূর অতীতের পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক ইত্যাদি দেশের অতীত ইতিহাস গভীর ভাবে পাঠ করার অনুরোধ রইল।”

