আমাদের ভারত, ১১ এপ্রিল: ক্যাগ রিপোর্টে মালদায় বন্যা ত্রাণে বড় কারচুপির অভিযোগের শুনানি শুরু হলো কলকাতা হাইকোর্টে।
২০১৭ সালে মালদা জেলায় বিধ্বংসী বন্যায় মালদা জেলার ১২টি ব্লক আংশিক এবং সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অঞ্চলগুলির মধ্যে ছিল হরিচন্দ্রপুর-১ ও ২, রতুয়া ১ ও ২, চাঁচোল ১ ও ২, গাজোল, হবিবপুর, বামনগোলা, ইংলিশ বাজারের অন্তর্গত প্রায় ১০২টি অঞ্চল। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অনুদান স্বরূপ রাজ্য সরকার ৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন।
আইনজীবী লোকনাথ চ্যাটার্জি এই প্রতিবেদককে এ খবর জানিয়ে বলেন, “২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রাক মুহূর্তে প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষরা স্থানীয় আধিকারিকদের নিয়ে সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি করে টাকা দেওয়া (আত্মসাৎ) হয়েছিল। তথ্য জানার অধিকার ও অন্যান্যভাবে জানা যায় যে, ক্ষতিগ্রস্ত কোনও মানুষ টাকা পায়নি। কে বা কারা টাকা পেয়েছে তার কোনও তালিকা কোনো ব্লক সঠিকভাবে দিতে পারেনি।
এই অবস্থায় ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মোস্তাক আলাম। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হল প্রধান বিচারপতিদ্বয়ের বেঞ্চে। আট সপ্তাহের মধ্যে সিএজি’কে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে বেঞ্চ।”
দুই আইনজীবী লোকনাথ চ্যাটার্জি এবং আইনজীবী অনিন্দ্য ঘোষ এদিন সিবিআই তদন্তের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন।