রাজেন রায়, কলকাতা, ২৯ অক্টোবর: ভ্যাকসিন প্রস্তুতকরণ প্রায় সম্পূর্ণ। দুর্গাপূজার পর থেকে কি পদ্ধতিতে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, তা ব্লু প্রিন্টও ছকে ফেলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক হয়েছে, প্রথম টিকা দেওয়া হবে চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদেরই। সেই কারণে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের (ন্যাশনাল হেলথ মিশন) আওতায় কলকাতা, শিলিগুড়ি-সহ সাতটি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এবং বাকি সব পুরসভা-সহ সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং বেসরকারি কোভিড হাসপাতালগুলির চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের তালিকা চেয়ে পাঠাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই সম্ভাব্য ভ্যাকসিন প্রাপকদের তালিকা জেলায় জেলায় চেয়ে পাঠাল স্বাস্থ্য দফতর। সেই তালিকাই পাঠানো হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে।
প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে নভেম্বরের মধ্যেই কেন্দ্রের হাতে তালিকা তুলে দেবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে চিঠি। স্বাস্থ্যকর্মীদের নামের তালিকা চেয়ে সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোম, ডায়গনস্টিক সেন্টারে চিঠি পাঠানো শুরু করেছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে রাজ্যের নোডাল অফিসার সৌমিত্র মোহন এবং অন্য আধিকারিকদের কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, সারা দেশেই স্বাস্থ্যকর্মীরা অগ্রাধিকার পাবেন। সেই মতো পুরসভা ও সরকারি-বেসরকারি কোভিড হাসপাতালের কাছে গ্রহীতাদের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছে। সেই তালিকা কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।