আমাদের ভারত, ২৫ এপ্রিল : বিশ্বের অন্য যেকোনো বড় দেশ গুলির তুলনায় ভারতে করোনা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। তৃতীয় পর্যায় অর্থাৎ গোষ্ঠী সংক্রমণ ভারতে আটকে দেওয়া গেছে। এখানে আক্রান্তদের মধ্যে ২০ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন আর মৃত্যুর সংখ্যা সেখানে তিন শতাংশ। এখানে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে করোনারি বিরুদ্ধে এই লড়াই আরও অন্তত ৪ মাস চালিয়ে যেতে হবে আমাদের সতর্কভাবে। আশার আলো দেওয়ার সঙ্গে এভাবেই দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন।
ভারতে করোনায় আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৫০৬। ইতিমধ্যে ৫০৬২ জন চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। একইসঙ্গে করোনাই আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃত্যু হয়েছে ৭৭৬ জনের। শনিবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আক্রান্তের সংখ্যা এভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ায় প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি লকডাউন কোন কাজ দিল না? স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, অবশ্যই লকডাউন কাজ দিয়েছে। ভারতে করনা আক্রান্তের সংখ্যা আগে দ্বিগুণ হচ্ছিল তিনদিন। সেটা বেড়ে হয়েছে দশ দিন। সঠিক সময় লকডাউন না করলে এখন দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যেত। স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন ঠিক সময় লকডাউনের জন্যই ভারতে করোনা সংক্রমণ তৃতীয় ধাপে পৌঁছাতে পারেনি। তবে একইসঙ্গে এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হবার ও যে সময় আসেনি তাও স্পষ্ট করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দিয়েছেন করোনার সঙ্গে এই লড়াই চলবে আরও অন্তত চার মাস।
দেশে সংক্রমণের শীর্ষে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। তার মধ্যে মুম্বাইতেই সংক্রমিতের সংখ্যা ৪২০৫। মুম্বাইয়ের ছাড়াও দিল্লি, গুজরাটের আমেদাবাদের মত দেশের একাধিক বড় শহর সংক্রমণের অন্যতম কেন্দ্রস্থল।
তবে লকডাউনের এক মাস পেরোতেই কিছুটা স্বস্তির খবর মিলেছে। শর্তসাপেক্ষে শনিবার থেকে গ্রিনজোন গুলিতে দেশের বেশ কিছু দোকান খোলার নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সংক্রমিত এলাকা বাদ দিয়ে গ্রীনজনে দোকান খোলারঅনুমতি দেওয়া হয়েছে। সপস অ্যান্ড এস্টাবলিশমেন্ট আইনের আওতায় দোকান খোলা যাবে। আবাসনের মধ্যে থাকা দোকান খুলবে। তবে সব ক্ষেত্রেই ৫০ শতাংশ কর্মচারী নিয়ে দোকান খুলতে হবে। বন্ধ থাকবে শপিং মল, সেলুন। দোকানে মাস্ক পরা এবং সোশ্যাল ডিস্টেন্স ইন বাধ্যতামূলক।