আমাদের ভারত, ২৫ নভেম্বর: তিনি নিজে কোভিড পজিটিভ অথচ সেই অবস্থাতেই হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে ঘুরে সেখানকার চিকিৎসার পরিষেবা নিয়ে রোগীদের সঙ্গে কথা বললেন রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ রঘু শর্মা। রাজ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রীর এই আচরণ ঘিরে উঠেছে বিতর্কের ঝড়।
সোমবার নিজেই টুইট করে তার করোনি আক্রান্ত হওয়ার খবর তিনি জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন শেষ কিছুদিনের তার সংস্পর্শে আসার সকলে যেনো আইসোলেশনে যান। সোমবারই রঘু শর্মা জয়পুরের আর ইউ এইচ এস হাসপাতালে ভর্তি হন।
আর নিজে কোভিড পজেটিভ থাকাকালীন মঙ্গলবার হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন তিনি। খতিয়ে দেখেন করোনার জন্য কি বিশেষ পরিকাঠামো গঠন করা হয়েছে হাসপাতালে। এমনকি রোগীদের সঙ্গেও নিজে কথা বলেন মন্ত্রী। নিজে ওয়ার্ড পরিদর্শনের পর সেই ছবি নিজেই শেয়ার করেন টুইটারে। তার এহেন দায়িত্বজ্ঞানহীন কান্ড দেখে ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা। ২৩ নভেম্বর নিজে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর দেওয়ার সময় জানান, যারা গত কয়েক দিনে তার সংস্পর্শে এসেছেন তারা সবাই যেন আইসোলেশনে যান এবং প্রয়োজন পড়লে পরীক্ষা করিয়ে নেন। এখানেই শেষ নয় হাসপাতলে ভর্তি হবার পরেও না তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওতে দেখা যায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালের বেডে শুয়ে সকলের উদ্দেশ্যে কথা বলছেন। তিনি বলছেন, ” আমি আগেই বলেছিলাম রাজস্থানে করোনার সেকেন্ড ওয়েব শুরু হয়ে যেতে পারে ১৫ ডিসেম্বরের আগে। আজও রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমনের সংখ্যা তিন হাজারেরও বেশি। এই পরিস্থিতিতে সকলের কাছে আমার আর্জি করোনাকে কেউ যেনো হালকা ভাবে না নেন। সবাই মাস্ক ব্যবহার করুন।”
आज आरयूएचएस डेडीकेटेड कोविड हॉस्पिटल में बने नवीन आईसीयू व अस्पताल के अन्य क्षेत्र का दौरा कर इंतज़ामात का जायज़ा लिया। साथ ही भर्ती मरीजों से भी मुलाकात कर उनकी कुशलक्षेम पूछी। pic.twitter.com/yO6ydidtzJ
— Dr. Raghu Sharma (@RaghusharmaINC) November 24, 2020
मैंने पहले भी कहा था कि राजस्थान में कोरोना की दूसरी पीक 15 दिसंबर से पहले कभी भी आ सकती है और आज प्रदेश में 3000 से ज्यादा पॉजिटिव केसेस प्रतिदिन आ रहे हैं ऐसे में मैं सभी प्रदेशवासियों से आग्रह करता हूं कि इस समय असावधानी ना बरतें और हमेशा मास्क का प्रयोग करें। pic.twitter.com/7Ynvp2eJJu
— Dr. Raghu Sharma (@RaghusharmaINC) November 23, 2020
এরপর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে সকলকে এহেন পরামর্শ দেওয়ার পর তিনি নিজে করোনা আক্রান্ত হয়ে কিভাবে হাসপাতাল পরিদর্শন করতে বের হলেন?নিজে কোভিড পজিটিভ হয়েও কিভাবে রোগীদের সঙ্গে কথা বললেন? নেটিজেনরা এই আচরণকে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় বলেই বিদ্রুপ করেছেন।