আমাদের ভারত, মালদা, ২৮ জুলাই: জেলার প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে এখন করোনা রোগীর সেবা করছেন মালদায়। মালদা জেলায় প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ চিকিৎসার পর এখন সুস্থ। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য পুরাতন মালদার সরকারি কোভিড হাসপাতলে জেলার অন্যান্য করোনা আক্রান্তদের নিরন্তর সেবা দিয়ে চলেছেন। আর এই ঘটনায় উৎসাহিত হচ্ছেন অন্যান্য রোগীরা।
মালদা জেলায় প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন সন্তোষ মন্ডল। বাড়ি মালদা জেলার মানিকচক থানার নারীদিয়ারা গ্রামে। তখনো মালদা জেলায় কোনও সংক্রমণ ছড়ায়নি ব্যাপক হারে। আজ থেকে মাস তিনেক আগে এই সন্তোষ মন্ডলের শরীরে প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তৎপরতায় তিনি এখন সুস্থ। কিন্তু তা বলে সুস্থ হয়ে বাড়িতে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন না। এখন তিনি জেলার কোভিড হাসপাতালে রোজ ডিউটি করছেন। রোগীদের সেবা যত্ন করছেন। রোগীদের উৎসাহ যোগাচ্ছেন। এভাবেই তিনি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রেখেছেন।
সন্তোষবাবু জানান, প্রথম মালদা জেলার করোনা আক্রান্ত তিনি ছিলেন, করোনাকে জয় করার পর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের দিন-রাত পরিষেবা দিয়ে চলেছেন, প্রত্যেক করোনা আক্রান্ত রোগীকে পরিবারের সদস্যের মতো পরিষেবা দিয়ে চলেছেন, কিছু পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে। তবে জীবনের আগে টাকা কিছুই না। তবে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করে খুশি তিনি।
এ প্রসঙ্গে সন্তোষ মন্ডল জানালে, এটা তার কর্তব্য। তিনি জেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। করোনা সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়েছেন। তিনি চান বাকিরাও সুস্থ হোক। বাকিদের মনে সাহস যোগাতে তিনি নিরন্তর এই রোগীদের পরিষেবা দিয়ে আসছে। আগামীতেও তাই করবেন।
মালদা মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল অমিত দাঁ বলেন, এই রকম সুস্থ হওয়া ৯জনকে নেওয়া হয়েছে। রোগীদের উৎসাহের বার্তা দিতেই তাদের নিয়োগ করা হয়েছে।