সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৫ সেপ্টেম্বর: ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে উত্তেজনা ছড়ালো উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার হেলেঞ্চা উচ্চ বিদ্যালয়ে। ছাত্র-ছাত্রীদের মারে মাথা ফাটল শিক্ষকের। পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক। তাঁর বক্তব্য, যড়যন্ত্র করে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। আর সেটা করতেই এই ধরনের অপবাদ।
সূত্রের খবর, বাগদার হেলেঞ্চা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ। ওই শিক্ষক একাধিক ছাত্রীকে অশালীন কথা বলেছেন এবং বাজে ইঙ্গিত করেছেন। এর আগেও একাধিক ছাত্রীকে ডেকে অশালীন ইঙ্গিত করতেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি এই অভিযোগ তোলেন একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ছাত্রীদের প্রতিবাদে ছাত্ররাও সামিল হয়। তারই প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়ে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার স্কুলে পরীক্ষা ছিল। কিন্তু সেই পরীক্ষা বন্ধ রেখেই স্কুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ছাত্রীরা। মুহূর্তের মধ্যে তার আঁচ ছড়িয়ে পড়ে গোটা স্কুলে। বাকি ক্লাসের পড়ুয়ারাও যোগ দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় বাগদা থানার পুলিশ। স্কুল থেকে শিক্ষককে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের হাত থেকে শিক্ষককে ছড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায় ছাত্র- ছাত্রীরা। ছাত্র-ছাত্রীদের মারে মাথা ফাটে শিক্ষকের। পরবর্তীতে ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বাগদা থানার সামনে বসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক। তিনি দাবি করেছেন, তিনি সহ প্রধান শিক্ষক হওয়ায় অনেক শিক্ষকরা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এই অভিযোগ করিয়েছেন।