আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ১৯ নভেম্বর: হিপ্পি কিংবা রঙিন চুল করে স্কুলে যাওয়া যাবে না। এই ফতোয়া জারি করেছেন প্রধান শিক্ষক। নির্দেশিকা অমান্য করায় অবাধ্য ছেলেদের স্কুলেই কাঁচি দিয়ে চুল কেটে দিলেন প্রধান শিক্ষক। স্কুলের এই সিদ্ধান্তে খুশি অভিভাবকরা।
এই অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছে বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের লোহাপুর এমআরএম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক।
ইদানীং সিনেমা দেখে ছেলেরা ফ্যাশান করে চুল কাটাচ্ছে। কেউ কেউ আবার চুলে লাল, নীল, সাদা একাধিক রঙ করে স্কুলে যাচ্ছে। এতে স্কুলের পঠনপাঠনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। অন্য ছাত্ররা প্রভাবিত হচ্ছে। তাই স্কুলের শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রথমে অভিভাবকদের বিষয়টি নিয়ে সচেতন করেন। কিন্তু তারপরও বেশ কয়েকজন ছাত্র চুল রঙ করে কিংবা হিপ্পি করে স্কুলে যাচ্ছে। এরপরেই প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ নিজেই কাঁচি ধরে পাঁচ ছাত্রের চুল কেটে দিয়ে সবক শেখান।
প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ বলেন, “ফ্যাশান চুল করে স্কুলে এলে অন্য ছাত্রের মধ্যেও বিষয়টি সংক্রামিত হয়। তাই বিষয়টি প্রথমে অভিভাবকদের ডেকে সতর্ক করেছিলাম। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনটা করা না হলে দিন দিন চুলের ফ্যাশানের প্রবণতা বেড়ে যাবে। তাই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে”।
প্রধান শিক্ষকের এই সিদ্ধান্তে শিলমোহর দিয়েছেন অভিভাবকরা। শেফালী বিবি, নাড়ুগোপাল মালরা বলেন, “প্রধান শিক্ষক সঠিক কাজ করেছেন। আমরা এতদিন পারিনি। তা প্রধান শিক্ষক করে দেখিয়েছেন। এর ফলে সমস্ত ছেলেরা সচেতন হবে। ভদ্রভাবে চুল কাটাবে”। স্কুলের মধ্যে প্রধান শিক্ষক চুল কেটে দিলেও খুব একটা ক্ষোভ নেই ছাত্রদেরও। ষষ্ঠ শ্রেণির রাজেন মাল, সন্তু মালরা বলে, “আমরা হিরো সাজার জন্য এইভাবে চুল কেটে রঙ করিয়েছিলাম। প্রধান শিক্ষক কেটে দিয়েছে তাতে আমাদের কোনও দুঃখ নেই। এভাবে আর চুল কাটব না। প্রধান শিক্ষক আমাদের সচেতন করে দিয়েছেন”।