আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৪ নভেম্বর : নিজের অবস্থান আরও স্পষ্ট করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন তিনি কী করবেন তা ঠিক করা আছে, যথা সময়ে তা বলবেন। রামনগরে কালীপুজোর উদ্বোধন করতে এসে তিনি এই কথা জানিয়েছেন।
নন্দীগ্রামের পর রামনগরে কালী পুজো উদ্বোধনে এসে আবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী। কালী পুজোর উদ্বোধনী মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের পরে অনেক বাহাদুরকে দেখা যায়নি, যারা ফেসবুকে আমাকে গালাগালি করে। তিনি আরো বলেন যা বলতে হয় তা করতে নেই,যা করতে হয় তা বলতে নেই, কি করতে হবে আমার মাথাতে আছে,যথা সময়ে বলবো। আজ রামনগর বিধানসভার এক কালী পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে তৃণমূলের জেলা ও রাজ্য নেতাদের বিরুদ্ধে এমনই তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী।
নন্দীগ্রামের ১০ নভেম্বরের শহীদ স্মরণ সভা থেকেই তৃণমূলের নেতা নেত্রী ও দলের বিরুদ্ধে তির্যক মন্তব্য করে আসছেন শুভেন্দু। তৃণমূল দলে তার অবস্থান নিয়ে রাজ্য জুড়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। পিকে তথা প্রশান্ত কিশোর তার কাঁথির বাড়ি দেখা করতে আসার পরও একের পর এক কালীপুজোর উদ্বোধনী সভাতে এই ভাবে তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে নাম না করে মন্তব্য কে ঘিরে বিভিন্ন মহলে যে জল্পনা তৈরি হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা এই সব তির্যক মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর দলে না থাকার অনস্থান আরো পরিষ্কার করে দিচ্ছে।
রামনগরে কালীপুজোর উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক অখিল গিরির গড়ে সমবায় আন্দোলনের ব্যানারে আগামী ১৯ নভেম্বর একটি বিরাট জনসভার করার কথা ঘোষণা করেছেন। অপর দিকে এই সভার প্রসঙ্গে রামনগরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব অখিল গিরি জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারীকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। উনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট না করলে দল পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।