আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ২ মে: লকডাউনের ফলে পান সিগারেটের দোকান বন্ধ হয়ে আছে ৩৮ দিন ধরে। তাই পেটের টানে এখন পেশা বদলানেন রায়গঞ্জ ফরেস্ট মোড়ের বাসিন্দা প্রদীপ ঘোষ। আগে ছিলেন পানওয়ালা, এখন হলেন সব্জি বিক্রেতা।
লকডাউন ফলে বাবা মা বৌয়কে দুমুঠো খাবার দিতে হবে।প্রদীপবাবু জানেন এই সময়ে সব্জির দোকান খোলা রাখা যাবে। তাই তিনি এই পথ বেছে নিয়েছেন। রায়গঞ্জের মোহনবাটি এলাকায় প্রদীপবাবুর একটি পান সিগারেটের দোকান ছিল। লকডাউনের আগে এই দোকান থেকে সংসার চালাতেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে প্রদীপ ঘোষের ওই দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সংসারে টান পড়ে। আর তাই কোনও উপায় না খুঁজে পেয়ে নিজের পানের দোকানের সামনে সব্জি নিয়ে বসেছেন। এই সব্জি বিক্রি করে প্রদীপবাবুর বাবা মা বৌয়ের খাওয়া-দাওয়ার খরচটুকু উঠে আসছে।
প্রদীপ ঘোষ ক্রেতাদের সামাজিক দূরত্বে বজায় রেখে নিজে মাস্ক পরে সবজি বিক্রি করছেন। তিনি জানিয়েছেন, এখন লকডাউনের ফলে আমার পানের দোকান বন্ধ হয়ে আছে। বাড়িতে বাবা মা বৌ আছে তাদের খাবার যোগাড় করার জন্যই আমি সব্জি বিক্রি করছি। এই ব্যবসা করে কিছুটা হলেও সংসার চালাতে পারছি, বলে জানান প্রদীপবাবু।