আমাদের ভারত, ৩ সেপ্টেম্বর: তৃণমূলের বর্ষিয়ান সাংসদ সৌগত রায় বিগত কয়েক দিন ধরে একাধিকবার বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করে চলেছেন। কখনো তিনি বলেছেন তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে জুতা তৈরি করে পরবেন। কখনো আবার বলেছেন বিরোধীদের জুতোপেটা করবেন। তা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। শনিবার আবারো একবার বে-লাগাম হয়েছেন সৌগত রায়। এবার তার হুঁশিয়ারি তৃণমূলের সমালোচনা করলে পিঠে তাল পড়বে। কিন্তু সৌগত বাবুর এই মন্তব্যে এবার পাল্টা দিলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আজ সাংবাদিক বৈঠকে সৌগত বাবুর মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সুকান্ত মজুমদার তৃণমূল সাংসদকে, অধ্যাপক গুন্ডা বলে কটাক্ষ করেন।
সুকান্ত বলেন, “রাগ তো শুধু ওনাদের ছেলেদের আসে না। আমাদেরও রাগ হয়। যদি সবাই রাগ করে তাহলে তো মুশকিল। তাহলে তো পৃথিবী থাকার যোগ্য থাকবে না। নাকের বদলে নাক, চোখের বদলে চোখ এই নীতি নিয়ে ভারতে চলতে পারে না। ভারতে সংবিধান আছে। আইন-কানুন আছে। সৌগত বাবুর বয়স হয়ে গিয়েছে এখন তার এসব থেকে অবসর নেওয়া উচিত। আমরা জানি উনি বড় মাপের গুন্ডা ছিলেন। অধ্যাপক গুন্ডা। এখন এসব থেকে অবসর নেওয়া উচিত।”
পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের বিভিন্ন নেতারা যে জনরোষের মুখে পড়ছেন সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দুর্ভাগ্যের বিষয় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু আমি তো বহু আগেই বলেছিলাম এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এমন বহু এজেন্ট ছড়িয়ে রয়েছে। এজেন্টের প্রকারভেদ রয়েছে। কলেজের অধ্যাপক থেকে শুরু করে সাধারণ তৃণমূল কর্মী সবাই এজেন্ট। আমারও লজ্জা লাগছে বলতে আমি কলেজের অধ্যাপক।”
প্রাথমিকে নিয়োগ জট নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন সুকান্ত মজুমদার। আগের জট না কাটিয়ে নতুন করে টেট নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আবার মামলা হবে। আবার ঝুলে যাবে। তৃণমূলও তাই চাইছে। কারণ চাকরি হলে মাইনে কোথা থেকে দেবে? মাইনে হলে ক্লাব, ৫০০ টাকা এগুলো সব বন্ধ হয়ে যাবে তো।