মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে দিঘায় শুরু হল বেআইনি দোকান ও ঝুপড়ি ভাঙ্গার কাজ

আমাদের ভারত, দিঘা, ২৭ নভেম্বর : কোনও রকম বাধা ছাড়াই দিঘায় শুরু হল বেআইনি দোকান ও ঝুপড়ি ভাঙ্গার কাজ। বিশাল পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে সকাল থেকে চলছে এই ভাঙ্গার কাজ।
সৈকত শহর দিঘার সৌন্দর্যায়ন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে রাস্তার ধার থেকে ও সৈকত থেকে অস্থায়ী বেআইনি দোকান, স্টল ও হকারদের উচ্ছেদ অভিযানে নামল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। গত কয়েক দিন লাগাতার মাইকিংয়ের পর আজ থেকে শুরু হয়েছে ঝুপড়ি ভাঙ্গার কাজ।

আগামী মাসের প্রথম দিকে দিঘায় আসতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগে দিঘার সৈকত, সৈকত সরনী ও রাস্তার পাশে থাকা অস্থায়ী দোকান ও ঝুপড়ি সরাতে উদ্যোগী হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। সকাল থেকে শুরু হয়েছে অভিযান। এর আগে দিঘার সৌন্দর্যায়নের জন্য, সৈকত সরণী সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের সময় উচ্ছেদ হয়েছেন বহু দোকানদার। যাদের স্থায়ী দোকান ছিল তাদের অনেকেই পেয়েছেন দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ নির্মিত স্টল। কিন্তু যারা অস্থায়ী দোকানদার বা স্টল পাননি তারা নতুন করে ব্যবসা করতে শুরু করেন সৈকতে বসেই। পাশাপাশি নতুন রূপে সেজে ওঠা দিঘায় পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দিঘার সৈকতে নতুন নতুন বেশকিছু স্টল গজিয়ে ওঠে রাতের অন্ধকারে। সেইসব দোকান ও স্টলই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের কাছে।

এর আগে দিঘা সফরে এসে সৈকতে অবৈধ স্থায়ী বা অস্থায়ী দোকান যাতে নতুন করে বসতে না পারে সেদিকে কড়া নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে গেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিসেম্বর মাসের প্রথম অর্ধে দিঘায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তার আগে সব অস্থায়ী ঝুপড়ি সরিয়ে দিতে সচেষ্ট হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।

পুনর্বাসনের দাবিতে ইতিমধ্যেই দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে বিক্ষোভ দেখিয়েছে কয়েকশো হকার। ওল্ড দিঘা ও নিউ দিঘা মিলিয়ে ছোটখাটো খাওয়ার দোকান, ফুচকার দোকান, ডাবের দোকান, ঝাল মুড়ির দোকান, চা কফির দোকানের কয়েক হাজার হকার কর্মহীন হয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। লিখিত ভাবে প্রশাসনের কাছে তারা পুনর্বাসনের আবেদন জানিয়েছেন। তাই আজ হকার উচ্ছেদ ঘিরে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। এখনও পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান কোনও রকম বাধার সম্মুখীন হয়নি। শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে অভিযান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *