আশিস মণ্ডল, বীরভূম, ৩ জুলাই: রয়েছে জব কার্ড। কিন্তু মেলে না কাজ। মেলেনি সরকারি বাড়ি। রয়েছে পানীয় জলের অভাব। না পাওয়ার রাজ্যে বসবাস করছেন ঝাড়খণ্ড সীমান্তের বীরভূমের একটি গ্রাম।
মুরারই ১ নম্বর ব্লকের ডুমুরগ্রাম পঞ্চায়েতের কনকপুর গ্রাম। প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই গ্রামের দুটি পাড়া আজও বঞ্চিত। পুড়াপাড়া ও লাডুইপাড়ার ৫০টি ঘর সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে আজও বঞ্চিত। ওই দুই পাড়ার অধিকাংশ পরিবারে মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। নেই শৌচাগার। বেশ কিছু পরিবার ত্রিপল খাটিয়ে বসবাস করছেন। পানীয় জলের অভাব নিত্যসঙ্গী। পঞ্চায়ত সদস্যকে বার বার জানিয়েও কাজ না হওয়ায় হাল ছেড়ে দিয়েছেন ওই গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। গ্রামের বাসিন্দা সুনিতা কোঁরা, লাডু কোঁরারা বলেন, “মাঠেঘাটে কাজ করে সামান্য যা আয় হয় তা দিয়েই চলে সংসার। লকডাউনে রেশনের চাল সেদ্ধ করে খেয়ে বেঁচে আছি। কিছু চাল বিক্রি করে আনাজ কিনেছি”। রাজু শেখ, টারজান ভুঁইমালিরা বলেন, “১০০ দিনের কাজ পাচ্ছি না। বৃষ্টি হলেই বাড়ির ভিতর জল ঢুকে যায়। ফলে সারা রাত জেগে কাটাতে হয়। এখনও পর্যন্ত সরকারি বাড়ি পেলাম না”।
পঞ্চায়েত প্রধান নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, “১০০ দিনের কাজ পাওয়ার কথা। কিন্তু কেন পাচ্ছে না বুঝতে পারছি না”। বিডিও নিশীথ ভাস্কর পাল বলেন, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। গ্রামে গিয়ে তদন্ত করে দেখব। গ্রামটি ঝাড়খণ্ড সীমান্তে হওয়ায় সম্ভবত বাড়ির সার্ভে করা হয়নি”।