আমাদের ভারত, ২৫ ডিসেম্বর: মুর্শিদাবাদের হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে যাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, তাদের পরিবারের দাবি, তারা গরিব- খেটে খাওয়া মানুষ। তৃণমূল নেতাদের বাঁচতে তাদের পরিকল্পনা করে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে ও জোর করে দোষ স্বীকার করতে বাধ্য করা হয়েছে। এই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যে ভিডিও পোস্ট করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ইনজামুল হকের দাদা মহম্মদ নূর ইসলাম তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। ভিডিওতে তিনি বলছেন,
এই হত্যাকাণ্ডে যাদের ফাঁসানো হয়েছে তারা নির্দোষ, নিরুপায় ও গরিব খেটে খাওয়া মানুষ। আর সেই জন্যই তারা ন্যায় বিচার পেল না, কারণ দাঙ্গার মত বড় কেস এদের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত দেওয়া হয়েছে। অথচ এখানে বড় বড় তৃণমূল নেতাদের হাত রয়েছে। তাঁর দাবি, মমতা ব্যানার্জির হাত আছে। হিন্দু ভোট কেটে যাচ্ছে। মুসলিম ভোট মমতার পকেটের ভোট। তিনি আরো বলেন, রীতিমতো চাপ সৃষ্টি করে স্বীকার করানো হয়েছে এই অভিযোগ। পুলিশের মারের চোটে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে তারা। হুমকি দেওয়া হয়েছে, প্রাণে বাঁচতে হলে দোষ স্বীকার করতে বলা হয়েছে। তৎকালীন ওসি শিবপ্রসাদ ঘোষের নেতৃত্বে ওই এলাকায় ভাঙ্গচুর করা হয়েছিল সেই সময় বলেও দাবি তাঁর।
এই ভিডিও পোস্ট করে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, গভীর রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়েছেন দোষী সাব্যস্তরা বলে দাবি করেছেন তাদের পরিবার। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সরাসরি নির্দেশে এই ঘটনায় জড়িত তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতাদের আড়াল করতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রকৃত দোষীদের বাঁচাতে এলাকার মুসলিম বাসিন্দাদের তুলে এনে বেধড়ক মারধর, হুমকি ও ভয় দেখিয়ে জোর করে অপরাধ স্বীকার করানো হয়েছে। তদন্তের নামে সাজানো হয়েছে এক নাটক, যার পরিচালক নাকি স্থানীয় থানার ওসি নিজেই। গোটা প্রক্রিয়ার আড়ালে থেকে গেছেন এলাকার দুর্দান্ত প্রতাপ তৃণমূল নেতারা। যাদের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে তদন্তের বাইরে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। দোষী সাব্যস্তদের পরিবারের এই বিস্ফোরক বয়ান নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশে গ্রেফতারি নাটকের ওপর।
সুকান্ত মজুমদারের কথায়, তৃণমূলের শেষ সময় চলে এসেছে। তৃণমূল কংগ্রেস যাদের উপর ভরসা করছে সেই সংখ্যালঘুরা আগামীতে তৃণমূলকে ভোট দেবে বলে আমার মনে হয় না। কারণ তারাও বুঝতে পেরেছে তাদের শুধু ব্যবহার করা হয়।তাদের ঝামেলার কাজে লাগানো হয়, তাদের পরিবারের লোকেরা জেলে যায়।

