আমাদের ভারত, ৪ নভেম্বর:মথুরার গোবর্ধন এলাকায় একটি মসজিদের ভেতরে ঢুকে হনুমান চালিশা পাঠ করার অভিযোগে ৪ যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের দাবি মন্দিরে নমাজ পাঠ করা থেকেই তারা অনুপ্রাণিত হয়ে এই কাজ করেছেন। তারা সম্প্রতির পরিবেশ বজায় রাখতে চান। তবে ঘটনায় ধর্মীয় উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
মথুরাতে ইদগাহতে হনুমান চালিশা পাঠ করার অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত চার যুবকের নাম সৌরভ লম্বারদর,কানহা, রাঘব এবং কৃষ্ণ ঠাকুর। জানা গেছে নন্দ বাবা মন্দিরে খোদাই-খিদমতগার সংগঠনের ফয়জল খান সড় তিনজনকে নামাজ পড়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পরই এই কাজ করেছেন তারা। কিন্তু তাদের দাবি শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখতেই এই কাজ করেছেন তারা। তাদের আরও দাবি নন্দ বাবা মন্দিরে নমাজ পাঠ থেকে অনুপ্রাণিত হই এই মসজিদে এসে হনুমান চালিশা পাঠ করেছেন তারা।
এর আগে রবিবার মথুরার নন্দবাবার মন্দিরে নমাজ পড়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় ফয়জল খান সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে। সোমবার দিল্লি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। রবিবার উত্তর প্রদেশে ফয়জন ও তার তিন সঙ্গী চাঁদ মহম্মদ, আলোক রতন নীলেশ গুপ্তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল মন্দিরের পুরোহিত সহ ৩ জন। অভিযোগ ছিল দুজন মন্দিরের ভিতরে না জানিয়ে ঢুকে নমাজ পড়েছেন এবং বাকি দুজন ঘটনার ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। চারজনের বিরুদ্ধে শত্রুতা ছড়ানো, প্রার্থনা স্থল অপবিত্র করা, হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করা ও জনসমক্ষে কুকীর্তি করা সহ ভারতীয় দন্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
সোমবার দিল্লি পুলিশের চারজনকে গ্রেপ্তার করে উত্তর প্রদেশ প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়। কেন তারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ফয়জলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
মথুরির পুলিশ জানিয়েছেন, পুলিশ সব কিছুর দিকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে নজর রাখছে। মথুরার জেলাশাসকও বলেছেন কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় কোনো ব্যক্তি যদি শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।