আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২৬ সেপ্টেম্বর: কখনও ফাঁকা সিরিঞ্জ দিয়ে ইনজেকশন আবার কখনও একে অপরের হাত কেটে সেলাই করা হত জলপাইগুড়ি ভুয়ো নার্সিং সেন্টারে। ছাত্রীদের অভিযোগ সামনে আসতেই হতবাক শহরবাসী থেকে স্বাস্থ্য দফতর। সময় যত বাড়ছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠছে জলপাইগুড়ি দিশারী নার্সিং এণ্ড টেকনোলজিক্যাল সেন্টার ইন্সটিটিউটের বিরুদ্ধে।
তার ওপর সেন্টারের বিরুদ্ধে ভুয়ো সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নার্সিং ট্রেনিং সম্পূর্ণ হয়েছে তিন বছর আগে। ট্রেনিং শেষে যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয় তা ভুয়ো। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দিশারী নার্সিং সেন্টারের বিরুদ্ধে জেলাশাসককে অভিযোগ জানালো প্রশিক্ষণ নেওয়া ছাত্রীরা। এই পরিস্থিতে ট্রেনিং নেওয়ার জন্য জমা দেওয়ায়া টাকা ফেরৎ চেয়ে পথে নামলো জলপাইগুড়ির দিশারী নার্সিং এণ্ড টেকনোলজিক্যাল সেন্টার ইন্সটিটিউটে প্রশিক্ষণ নেওয়া ছাত্রীরা।
মঙ্গলবার জেলাশাসক দফতরে স্মারকলিপি দিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে নার্সিং সেন্টারের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তুললেন ছাত্রীরা। ছাত্রীরা জানায়, জেলাশাসক কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন সেটা দেখার পরেই তাঁরা পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন।
এদিকে ১৯ সেপ্টেম্বর দিশারী নার্সিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। অন্যদিকে পদ্মশ্রী করিমূল হক নার্সিং সেন্টারের কর্ণধার শান্তুনু শর্মার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমতি না থাকা সত্যেও কয়েক বছর ধরে সেন্টারের কর্ণধার শান্তনু শর্মা কয়েকশো ছাত্রীকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। ছাত্রীদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন ভুয়ো সার্টিফিকেট কিংবা ট্রেনিংয়ের নাম করে বলে অভিযোগ।
এ দিন জেলাশাসক দফতরে স্মারকলিপি দেওয়ার পর এক ছাত্রী পিংকি রায় বলেন, “মেডিসিন ছাড়া ফাঁকা সিরিঞ্জ দিয়ে ইনজেকশন দেওয়া শেখানো হত। আমরা বুঝতে পারিনি। এখন বুঝলাম ভুয়ো নার্সিং সেন্টার ছিল।”

আরও এক ছাত্রী সুস্মিতা দাস বলেন, “আমরা একে অপরের রক্ত সিরিঞ্জ দিয়ে নিতাম। হাত কেটে সেলাই করতাম। ফাঁকা সিরিঞ্জ দিয়ে ইনজেকশন দিতাম। একে অপরকে এগুলো শেখানো হত।”
এই ভুয়ো নার্সিং সেন্টার ও কর্ণধারের বিরুদ্ধে প্রশাসন কী পদক্ষেপ করে সেদিকে তাকিয়ে প্রতারিত ছাত্রী ও শহরবাসী।

