সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ৩ ডিসেম্বর: পুলিশ কিছু বোঝার আগেই ক্রমাগত বেড়েই চলেছে শহরে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা। ৩ দিনে যাদবপুরে ৪৪ এবং চারু মার্কেটে ১৩টি অভিযোগ মিলিয়ে মোট ৫৭টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ৫৭ জন গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে ১২ লক্ষ টাকা। অপরাধীদের ধরতে দিল্লি রওনা দিয়েছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টিম।
প্রসঙ্গত, রবিবার থেকে সোমবারের মধ্যেই যাদবপুর থানায় দায়ের হয়েছিল ২২টি অভিযোগ। যাদবপুরে সুলেখা মোড়ের একটি এটিএম সহ বেশ কয়েকটি এটিএমকে চিহ্নিতও করেছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু তারপরে যেন আরও বেড়ে যায় ব্যাংক জালিয়াতির সংখ্যা। যাদবপুরের পাশাপাশি খবর আসতে থাকে চারু মার্কেট থানা এলাকা থেকেও।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ২০১৭ সালের এপ্রিলের মত এবারেও রোমানিয়ান বা টার্কি গ্যাং এর পিছনে রয়েছে। আগে থেকে অরক্ষিত এটিএমগুলিকে স্কিমার লাগিয়ে কার্ড ক্লোনিং করে এই গ্যাং এখন দিল্লি পালিয়ে গিয়েছে। কারণ দিল্লি থেকেই টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে।
আজ লালবাজারে গোয়েন্দাপ্রধান মুরলীধর শর্মা জানান, যাদবপুর এবং চারু মার্কেটে দুটি বড় মামলা করা হয়েছে। প্রত্যেক থানা থেকে বাইকে করে এলাকার অরক্ষিত এটিএম বিশেষ ভাবে নজরদারি করতে বলা হয়েছে। শহরে মোট ২৫০টি অরক্ষিত এটিএম আছে। গ্রাহকদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, প্রয়োজনে অরক্ষিত এটিএম এড়িয়ে চলুন। ৬ মাস অন্তর পারলে এটিএম পিন বদল করে নিন। কোনও গণ্ডগোল দেখলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে অভিযোগ জানান।