আমাদের ভারত, শিলিগুড়ি, ২১ জুলাই: গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুংয়ের নাম করে করা হয়েছে তোলাবাজি। অভিযোগ পাওয়া মাত্র তদন্তে নেমে কালিম্পংয়ে অভিযান চালিয়ে দুই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করল শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম থানা। অভিযানে সহযোগিতা করেছে কালিম্পং থানার পুলিশ।
সাইবার ক্রাইম বিভাগ ও কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম দীপেশ ত্রিক্ষত্রী ও তারা পারিয়ার। দীপেশ কালিম্পং ঠাকুরবাড়ি ও তারা কালিম্পংয়ের তাসিডিংয়ের তিন মাইলের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বুধবার সকালে কালিম্পংয়ে যৌথ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আরও জানা গিয়েছে, ৮ জুলাই শিলিগুড়ি সংলগ্ন দাগাপুরের একটি বেসরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল সঞ্জয় ভট্টাচার্যকে ফোন করে দীপেশ। নিজেকে বিমল গুরুংয়ের আপ্ত সহায়ক বলে পরিচয় দেয় এবং পার্টি ফাণ্ডে এক লক্ষ টাকা দাবি করে। সেইমতো সঞ্জয় ভট্টাচার্য ৯ জুলাই তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দেন। ১০ জুলাই দীপেশ ফের সঞ্জয় ভট্টাচার্যকে আরও দু’লক্ষ টাকা পার্টি ফান্ডে দিতে চাপ দিতে থাকে। এরপর সঞ্জয় ভট্টাচার্যর সন্দেহ হলে ১২ জুলাই তিনি শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে মঙ্গলবার রাতে কালিম্পংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সাইবার ক্রাইম বিভাগের বিশেষ দল। কালিম্পং থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে শিলিগুড়ি নিয়ে আসে। যে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নথি ও এটিএম উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বুধবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে জামিনের আবেদন খারিজ করে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এদিকে, ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর তৎকালীন জিটিএ চেয়ারম্যান বিনয় তামাংয়ের নাম করেও এক ব্যবসায়ীর থেকে টাকা তোলা সহ একাধিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে দীপেশ ত্রিক্ষত্রীর বিরুদ্ধে। দু’জনেই কোনওভাবে মোর্চার সঙ্গে জড়িত নয় বলে সাফ জানিয়েছেন মোর্চার সম্পাদক রোশন গিরি। এই বিষয়ে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (গোয়েন্দা বিভাগ) রাজেন ছেত্রী বলেন, “দুজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”