নির্দেশিকা শিকেয়, তারাপীঠে ভিড় করে পুজো

আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বীরভূম, ৫ জানুয়ারি: সরকারি নির্দেশিকাকে উপেক্ষা করেই তারাপীঠে চলছে পুজো। এদিন তারাপীঠ চত্বরের কোথাও দেখা মেলেনি পুলিশ প্রশাসনের। ফলে অবাধে তারাপীঠে প্রবেশ করছে বহিরাগত পূন্যার্থীরা। মাস্ক ছাড়াই ঘুরছে রাস্তাঘাটে। মিলছে হোটেলের ঘরও। হোটেল মালিকরা অবশ্য সরকারি নির্দেশিকা হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন।

রাজ্য সরকার রবিবার সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ জারি করেছে। তারাপীঠ ধর্মীয়স্থান হলেও জেলা প্রশাসনের কাছে সেটা পর্যটন কেন্দ্র। তাই বুধবার তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে বৈঠকে বসে প্রশাসন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাটের মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সায়ন আহমেদ, পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায়, হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুনীল গিরি, মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় এক সঙ্গে মন্দিরে ৫০ জনের বেশি পূন্যার্থী থাকতে পারবে না। হোটেলে সমস্ত বুকিং বন্ধ। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছিলেন, তারাপীঠে ঢোকার সমস্ত রাস্তায় নাকাচেকিং করে বহিরাগত প্রবেশ আটকানো হবে। কিন্তু এদিন কোথাও পুলিশের দেখা মেলেনি। ফলে অবাধে বহিরাগত পূন্যার্থী তারাপীঠে প্রবেশ করছে। মন্দিরেও গাদাগাদি করে মানুষ পুজো দিচ্ছে।

মন্দিরের সেবাইত বিমান চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কিছু মানুষ আগেই চলে এসেছিলেন। তাই এদিন সরকারি নির্দেশিকা মানা সম্ভব হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার থেকে ৫০ জনের বেশি যাত্রী মন্দিরে থাকতে দেওয়া হবে না”।

পুরুলিয়া থেকে তারাপীঠে পুজো দিতে আসা যাত্রী মিঠু সিংহ বলেন, “আমরা দিঘা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু যখন জানতে পারলাম দিঘার সমস্ত লজ বন্ধ তখন তারাপীঠে চলে এলাম। দেখলাম খুব একটা কড়াকড়ি নেই। হোটেলও পেয়েছি সহজেই”।

হোটেল ম্যানেজার দেবাশিস ঘোষ বলেন, “হোটেল বন্ধের কোনও সরকারি নির্দেশিকা আমরা পাইনি। এমনকি প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো রকম মাইকিংও করা হয়নি। তাই আমরা ভাড়া দিচ্ছি”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *