আমাদের ভারত, ৪ সেপ্টেম্বর: জিএসটির কাঠামো ঢেলে সাজিয়ে আমেরিকার শুল্কবাণ উপেক্ষা করবে ভারত বলে মনে করছে বিশ্লেষক মহল। বুধবার রাতে ঘোষিত হয়েছে নতুন জিএসটি কাঠামো। তারপর থেকে বিশ্লেষকরা মনে করছেন এর ফলে আমজনতার ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে। আর এর ফলে ট্রাম্পের শুল্কবাণ প্রতিহত করার মতো জায়গা তৈরি করতে পারবে ভারতীয় অর্থনীতি।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, নবরাত্রির প্রথম দিন অর্থাৎ, ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন জিএসটির হার কার্যকর হবে। ১২ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ স্ল্যাব তুলে দেওয়া হয়েছে। এবার থেকে কেবল জি এস টি’তে ৫ % ও ১৮%- এর স্ল্যাব থাকবে। ১২ শতাংশ করের আওতায় থাকা পণ্য ও পরিষেবা গুলিকে ৫% ও ১৮%- এর শ্রেণিতে ভাগ করে দেওয়া হবে। তবে বিলাসবহুল পণ্য, তামাকজাত পণ্যে ৪০ শতাংশ জিএসটি থাকবে।
১৭৫টি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর ফলে বাজারে লেনদেনের পরিমাণ ৫.৩১ লক্ষ কোটি টাকা বাড়বে বলে অনুমান এস বি আই এর রিপোর্টে। আর তার ফলেই ট্রাম্পের শিল্পবাণে ক্ষতি সামাল দেওয়া যাবে বলে মনে করছে বিশ্লেষক মহল।
জিএসটি কাঠামো পরিবর্তনের আগেই আর বি আই রেপোরেট কমিয়েছে। ছাড় দেওয়া হয়েছে আয়করে। মুদ্রাস্ফীতি কমবে বলে অনুমান করা হয়েছে।
এই চারটি বিষয়ে একত্রিত হয়ে পণ্য কেনার পরিমাণ হুহু করে বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যেহেতু বাজারে বিরাট অঙ্কের লেনদেন হবে তার প্রভাবে পরবর্তীকালে দেশের জিডিপিও বাড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে প্রত্যক্ষভাবে না হলেও জিডিপি বৃদ্ধির মাধ্যমে পরোক্ষে ট্রাম্পের শুল্ক বাণের ধাক্কা সামলে উঠতে পারবে ভারত।
ভারতীয় পণ্য রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে যেতে পারে, সেই পরিস্থিতিতে নতুন জিএসটির হাত ধরে দেশীয় বাজারে চাহিদা বাড়বে। সামনে উৎসবের মরশুমেও বাড়বে কেনাকাটা। যে ব্যবসায়ীরা বিদেশে বিশেষত মার্কিন মুলুকে রপ্তানি করেন তারা এবার দেশীয় বাজারে মন দিতে পারেন। ফলে ব্যবসায় লাভের জন্য আমেরিকার আশায় বসে থাকতে হবে না তাদের। সব মিলিয়ে নতুন জিএসটির হাত ধরে ট্রাম্পের শুল্কবাণ উপেক্ষা করেই বাড়তে পারে ভারতীয় অর্থনীতি বলে আশা বিশ্লেষকদের।

