আমাদের ভারত, ৪ সেপ্টেম্বর: জিএসটি ২.০ জাতির প্রতি সহায়তা এবং দেশের আর্থিক বৃদ্ধির ডবল ডোজ হবে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে জিএসটি হারের পরিবর্তন সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, দেশের স্বাধীনতার পর এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
বুধবার পণ্য জিএসটি কাঠামোয় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মালা সীতারামন। জিএসটি কাউন্সিলের ৫৬তম বৈঠকের প্রথম দিনের শেষে এই নয়া সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে মূলত দুটি হারে ৫ এবং ১৮% হারে জিএসটি কার্যকর হবে। তবে কিছু ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ কর থাকবে।
২০১৭ সালের জুলাইয়ে জিএসটি চালুর পর থেকে তাতে পাঁচটি হার ছিল এতদিন পর্যন্ত। এবার ১২ এবং ১৮% জিএসটি উঠে গেল। এই নয়া হারকে জিএসটি ২.০ বলছেন মোদী।
তাঁর দাবি, এই সিদ্ধান্ত ২১ শতকে দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন অগ্রগতি হবে। জিএসটি সংস্কারের মাধ্যমে ভারতের প্রাণবন্ত অর্থনীতিতে পাঁচটি নতুন রত্ন যুক্ত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার প্রাপ্তদের সভায় নতুন জিএসটি হার নিয়ে কৃতিত্ব দাবি করার পাশাপাশি কংগ্রেসের সমালোচনা করতে পিছপা হননি। তাঁর দাবি, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, খাদ্য এবং ওষুধ যে কোনো কিছুর ওপর কর আরোপ করেছে কংগ্রেস। এমনকি শিশুদের টফিতেও কর বসিয়েছিল কংগ্রেস। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নবরাত্রির কথা উঠে এসেছে তাঁর বক্তব্যে। সেদিন থেকেই নতুন জিএসটি হার কার্যকর হতে চলেছে।
নতুন জিএসটি’র হারে ব্যক্তিগত জীবন বীমা ও স্বাস্থ্য বীমা পুরোপুরি করমুক্ত হয়েছে। এছাড়া জিএসটি কমানোর ফলে ৩৩টি জীবন দেয় ঔষধ সহ ১৭৫টি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমবে।
মোদী বলেন, সময় উপযোগী পরিবর্তন না হলে আজকের বিশ্ব পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের দেশকে তার যথাযথ স্থান দিতে পারব না। আমি ১৫ আগস্ট লালকেল্লা থেকে বলেছিলাম যে ভারতকে স্বাবলম্বী করার জন্য পরবর্তী প্রজন্মের সংস্কার মূলক পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে দীপাবলি এবং ছট পুজোর আগে দ্বিগুণ আনন্দের ঝলক দেখা যাবে। সে প্রতিশ্রুতি তার সরকার রক্ষা করেছে বলেই দাবি করেছেন নরেন্দ্র মোদী।