গ্রুপবাজি বরদাস্ত করা হবে না, প্রয়োজনে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে, হুঁশিয়ারি জুন মালিয়ার

পার্থ খাঁড়া, মেদিনীপুর, ১১ নভেম্বর:
গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্ব। এবার সেই গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন বিধায়ক জুন মালিয়া। জানিয়ে দিলেন, গ্রুপবাজি বরদাস্ত করা হবে না। গোষ্ঠী কোন্দল করলে তাকে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে। এছাড়া এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও নেতার স্ত্রী, দিদি, বোন টিকিট পাবেন না বলে জানিয়ে দিলেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়ায় তৃণমূলের এতে দলীয় সভায় যোগ দেন বিধায়ক জুন মালিয়া। সেই সভায় কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে, “দয়া করে গ্রুপ বাজি বন্ধ করুন। অনেক হয়েছে, আর নয়।” তার কড়া বার্তা, “যারা গ্রুপ বাজি, ঝগড়া করবে তাদের কিন্তু আর তৃণমূল কংগ্রেসে স্থান হবে না।”

পনঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট দেওয়া নিয়ে বলেন, “কোনও নেতার স্ত্রী, দিদি, বোন বলে আপনারা এই পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে পারবেন না।” পাশাপাশি অবশ্য বলেন, “তবে যোগ্য হলে অবশ্যই পাবে।” জুন নালিয়া বলেন, “কোনও সংরক্ষিত আসনে নেতার বউ বসে গেছে, সেই বউ বাড়িতে রান্না করছে আর নেতা ছড়ি ঘুরাচ্ছে- সেটা চলবে না। মহিলা আসন হলে মহিলারা এগিয়ে আসুন। কোনও গ্রুপ চলবে না। একজোট হয়ে প্রত্যেকটা ব্লকে গিয়ে মিটিং করবেন। দরকার পড়লে অন্য অঞ্চলে গিয়েও মিটিং করতে হবে।”


ছবি: অরুপ দাস, জেলা বিজেপি মুখপাত্র।

বিধায়কের এমন বক্তব্যের পর খুব স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস সরাসরি খোঁচা দিয়েছেন জুন মালিয়াকে। অরুপ দাস বলেন, “যে দলটা গোষ্ঠী কোন্দল থেকে তৈরী সেটা কখনও গোষ্ঠী কোন্দল ছেড়ে থাকতে পারে না। উনি নিজেও সেটা জানেন। কয়েকদিন আগে বিধায়ক শিউলি সাহাও একই কথা বলেছিলেন। আসলে এটা কথার কথা, সেটা সবাই জানেন। জুন মালিয়ার সাথেই দলের জেলা সভাপতির গোষ্ঠী রয়েছে৷”

উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে দলের কোন্দল নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা। তিনি বলেছিলেন, “দলের ভেতরে থেকে বিরোধিতাকে কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।” দলের কেশপুর এলাকার গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে সম্প্রতি মেদিনীপুরে বৈঠক করেছিলেন তৃণমূলের জেলা কো অর্ডিনেটর অজিত মাইতি৷ সেই বৈঠকে তিনি একথা বলেছিলেন।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব এখন মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে৷ কারন কর্মীরা এক না হলে পঞ্চায়েতে জয় কঠিন হবে বলেই মনে করছে শাসকদল৷ তাই সমস্ত স্তরেই নেতারা সেই বার্তা দিচ্ছেন বৈঠকগুলিতে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *