আমাদের ভারত,২৬ নভেম্বর:দীর্ঘ চার মাস অবরুদ্ধ জীবন যাপন করার পর একটু একটু করে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছিল কাশ্মীর উপত্যকা। খুলেছে বেশকিছু দোকানপাট, সংখ্যায় অল্প হলেও আসতে শুরু করেছিল পর্যটকরা, খুলেছিল পোষ্টপেইড ফোনের লাইন, খুলেছে স্কুল-কলেজ। কিন্তু এই অবস্থাতে আবার হামলার আতঙ্ক গ্রাস করল শ্রীনগরকে। গ্রেনেড বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল শ্রীনগরের কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার সৈয়দ গেটের সামনে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গেটে অনেক মানুষই দাঁড়িয়েছিলেন। ছিল বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী। ঘটনায় দুজন গুরুতর জখম হয়েছে।
এর আগেও শ্রীনগরে গ্রেনেড হামলা করেছিল জঙ্গিরা। তাতছ আহত হয়েছিল ৬ জন সিআরপিএফ জাওয়ান। এরপর জঙ্গিরা গ্রেনেড বিস্ফোরণ করে হয় সোপারের একটি বাসস্ট্যান্ডে। সেখানেও অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই কাশ্মীরে অল্পবিস্তর উত্তেজনার খবর ছিল। কিন্তু জম্মু কাশ্মীর লাদাখকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পর গত দুই মাসের মধ্যে এই নিয়ে চার চারটি গ্রেনেড বিস্ফোরণ হলো উপত্যাকায়। শ্রীনগরে জঙ্গিদের হাতে মৃত্যু হয়েছে এক দোকানির। ৫ই অক্টোবর অনন্তনাগের ডেপুটি কমিশনারের অফিস লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়ে ছিল জঙ্গিরা। তাতেও আহত হয়েছিলেন পথচারীরা।
তবে উপত্যকায় সন্ত্রাস রুখতে ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষার তিন বাহিনীর প্যারা স্পেশাল ফোর্স,মেরিন কমান্ডো ফোর্স এবং বায়ুসেনার নিজস্ব এলিট ফোর্স গরুর বাহিনীকে এক জোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই ৩ বাহিনীকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে ফোর্সেস স্পেশাল অপারেশন ডিভিশন।