আমাদের ভারত, ১৬ জুন: রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মহামূল্যবান নজির স্থাপন করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মাত্র দুই মিনিটে তারা এক একটা মনোনয়ন দাখিল করার রেকর্ড গড়েছেন। হ্যাঁ এভাবেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চুড়ান্ত কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
মনোনয়ন দাখিলে বিজেপি প্রথম তিন দিনে ফার্স্ট বয় থাকলেও চতুর্থ দিনে একসাথে বিপুল সংখ্যক মনোনয়ন দাখিল করে তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম স্থান দখল করেছে। কিন্তু কীভাবে বিপুল সংখ্যক এই মনোনয়ন দাখিল একদিনেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন করে ফেললো, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। রীতিমত হিসেবে কষে এই ঘটনাকে অবাস্তব বলার চেষ্টা করেছেন তিনি। একই সঙ্গে রাতের অন্ধকারে এই মনোনয়ন দাখিলের ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ করেছেন সুকান্ত মজুমদার।
আজ সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “১৩ তারিখে আমরা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেখতে পাচ্ছি তৃণমূল কংগ্রেস ৯ হাজার ৩২৮ টি নমিনেশন দাখিল করেছে। ১৪ তারিখ দেখা যাচ্ছে তারা মোট ৪৯ হাজার ৪৯১ টি নমিনেশন দাখিল করেছে। হঠাৎ তারা একদিনে প্রায় ৪০ হাজার ও মোট ৪৯ হাজার মনোনয়ন দাখিল করে এক নম্বর স্থান অধিকার করেছে।”
এরপরই তিনি বিস্ময়ের সুরে বলেন, “আমাদের রাজ্য নির্বাচন কমিশন একটি মহামূল্যবান রেকর্ড স্থাপন করেছে। আমরা দেখছিলাম নমিনেশনের জন্য প্রতিদিন চার ঘন্টা করে সময় পাওয়া যায়। মিনিটের হিসাব করলে সেটা দাঁড়ায় ২৪০ মিনিট। এক একটা ব্লক অফিসে যদি আমরা চার ঘন্টা করে সময় ধরি ৩৪১ টি ব্লক অফিসে মিনিটের হিসাব করলে ৮১৮৪০ মিনিট সময় পাওয়া যায়। এই ৮১ হাজার ৮৪০ মিনিটে ৪০ হাজার নোমিনেশন হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি নোমিনেশন মাত্র দু মিনিটে সম্পন্ন হয়েছে। তাও শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের। বিরোধীরা ছেড়ে দিন। বিজেপি সিপিএম কংগ্রেস সবার নমিনেশন বাদ দিয়েই এই অসাধ্য সাধনের কাজ রাজ্য নির্বাচন কমিশন কীভাবে করেছে সেটাই এখন আমাদের কাছে বড় প্রশ্ন।”
এই হিসেব তুলে ধরে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “যে নিয়মে নমিনেশন দাখিল করা উচিত সেই নিয়ম কি আদৌ মানা হয়েছে? তিনি বলেন, “আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে সমস্ত বিডিওর কাছে কি তৃণমূল রাতের বেলাতে নমিনেশন পৌঁছে দিয়েছিল?”
একই সঙ্গে তিনি জানান, এবার
বিজেপি সবমিলিয়ে ৪৬ হাজার নোমিনেশন দাখিল করেছে। গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩৮ হাজার ৭৬৩টি নমিনেশন দাখিল করতে পেরেছে দল যা গতবারের তুলনায় দশ হাজারের বেশি। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৬৭৮৬ জেলা পরিষদের৭৫৯ নমিনেশন দাখিল করতে পেরেছে বলে জানান রাজ্য সভাপতি।
এদিন সুকান্ত মজুমদার ফের একবার তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় দলের তকমা হারানোর প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “রাজ্য নির্বাচন কমিশনও দেখিয়ে দিয়েছে এ দুটি দল রাজ্য পার্টিতে পরিণত হয়েছে একটি ফরওয়ার্ড ব্লক এবং অন্যটি তৃণমূল কংগ্রেস। আর এখানে জাতীয় দলের মধ্যে রয়েছে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, বহুজন সমাজ বাদীর মতো দলগুলি।