রাজেন রায়, কলকাতা, ১৭ অক্টোবর: গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিজেপির ‘নবান্ন অভিযান’ এ অংশগ্রহণ করেছিলেন বিজেপি নেতার দেহরক্ষী। তার কাছ থেকে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইন্সেস থাকলেও সেটি মিছিলে শামিল করা উচিত কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। কিন্তু তিনি কোনও গুলি চালাননি। সেই কারণে এক বিজেপি কর্মীকে এভাবে দিনের পর দিন আটকে রেখে পুলিশি অত্যাচার মানবধিকার লঙ্ঘনের শামিল। সেই কারণে অবিলম্বে বলবিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিয়ে তাকে মুক্ত করার দাবি জানালেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।
আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধরা পড়ায় যে ধারায় বলবিন্দারের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা সাজিয়েছে, তাতে বলবিন্দারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে বলে আশঙ্কা রাজ্যপালের। আগেই এই প্রসঙ্গে রাজ্য প্রশাসনকে খোঁচা দিয়ে টুইট করেছেন তিনি। এদিন রাজ্যপাল টুইট করেন, ‘প্রাক্তন সেনাকর্মীদের একটি প্রতিনিধিদল আজ আমার সঙ্গে দেখা করে বলবিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। ‘একইসঙ্গে তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘এটা পুলিশি অত্যাচার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো বেদনাদায়ক ব্যাপার। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করছি বলবিন্দরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়ে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক।’
গত ৮ অক্টোবর হাওড়া ময়দানে বিজেপির নবান্ন অভিযানের মিছিল থেকে বলবিন্দর সিংকে আগ্নেয়াস্ত্র সমেত গ্রেফতার করে পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্রটির লাইসেন্স থাকলেও তা জম্মু কাশ্মীরের বলে দাবি পুলিশের। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ দলের নেতা প্রিয়াংশু পাণ্ডের দেহরক্ষী বলবিন্দরের পাগড়ি খুলে শিখ সম্প্রদায়কে অপমান করেছে পুলিশ।এরপর দিল্লির শিখ গুরুদ্বার কমিটির সভাপতি মনজিন্দার সিং সিরসারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল, বলবিন্দারের স্ত্রী করমজিৎ কাউর, ছেলে হর্ষবীর রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বলবিন্দারের মুক্তির জন্য আবেদন করেন।
এরপরই এদিকে রাজ্য পুলিশের ডিজি বলবিন্দার সিংয়ের স্ত্রী করমজিৎ কাউরকে ন্যায় বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী পুজোর পোশাক উপহারও দিয়েছেন করমজিৎকে। শিখ গুরুদ্বার কমিটির সভাপতি মনজিন্দর সিং সিরসার টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীকে এজন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে সব কিছু হলেও বলবিন্দর কতদিন এই মুক্তি পাবেন, সে অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন সব পক্ষই।