পুরোহিত ভাতার ঘোষণা সরকারের, উচ্ছ্বসিত বিধায়ক মিল্টন রশিদ

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১৪ সেপ্টেম্বর: পুরোহিত ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। এই ঘোষণায় খুশি বীরভূম জেলার পুরোহিতরা। খুশি হাঁসন কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদ। কারণ তিনিই প্রথম পুরোহিত ভাতা দেওয়ার দাবিতে বিধানসভায় সোচ্চার হয়েছিলেন। রাজ্যজুড়ে পুরোহিতদের নিয়ে আন্দোলন সংগঠিত করেছিলেন তিনি।

তৃণমূল সরকারে আসার পরেই মোয়াজ্জেমদের মাসিক সাম্মানিক দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এরপরেই পুরোহিতরা দাবি তোলেন, তাদেরও ভাতা দিতে হবে। ২০১২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রামপুরহাট শহরে মিছিল করেন পুরোহিতরা। এরপর রামপুরহাট পুরসভার স্মারকলিপি জমা দেন। একই সালের ৭ অক্টোবর বিজেপি নেতা মনোজ শর্মা রামপুরহাট শহরে পুরোহিত ভাতার দাবিতে মিছিল করেন ঢাক বাজিয়ে। কিন্তু মূল দাবি জানান হাঁসন কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদ। তিনি ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর পুরোহিত ভাতার দাবি জানান বিধানসভায়। উত্তরে সরকার জানিয়েছিল, বিষয়টি অর্থ দফতরে জানানো হয়েছে। এরপরেই বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পুরোহিত ভাতার দাবিতে রাস্তায় নামেন তিনি। এতদিনে তাঁর দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি মিল্টন।

এরপরেই রাজ্য নিখিলবঙ্গ পুরোহিত ও পণ্ডিত সংঘের নজরে পড়েন মিল্টন। তাঁকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রধান অতিথিকে করে সম্মেলন শুরু করে তারা। মিল্টন বলেন, “দেশের ৫১ সতীপীঠের মধ্যে বীরভূমে রয়েছে পাঁচ সতীপীঠ। এছাড়া সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ তো রয়েছেই। এছাড়া বিভিন্ন মন্দিরে বহু পুরোহিত রয়েছেন যাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। তাদের দুর্দশার কথা ভেবেই আমি বিধানসভায় পুরোহিত ভাতার দাবি জানিয়েছিলাম। কংগ্রেসের চাপে পড়ে সরকার পুরোহিত ভাতা চালু করতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের দাবি, রাজ্যের এক লক্ষ পুরোহিতকে ভাতা দিতে হবে। এই ভাতা নিয়ে যেন আমফান ও একশো দিনের কাজের মতো দুর্নীতি না হয় সেটা দেখতে হবে”।

তারাপীঠ মন্দিরের সেবাইত পুলক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুরোহিত ভাতা চালু করার জন্য বিজেপি বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন চালিয়েছে। তবে বিধানসভায় বিধায়ক মিল্টন রশিদ প্রথম দাবি জানিয়েছিলেন। এর ফলে সামান্য হলেও বহু দুঃস্থ পুরোহিত পরিবার উপকৃত হবে”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *