মিলন খামারিয়া
আমাদের ভারত, ৯ নভেম্বর: বর্তমানে ভারত বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতির দেশ। মার্কিন সংস্থা ‘মর্গ্যান স্ট্যানলি’ রিপোর্ট অনুসারে আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে ভারত জাপান ও জার্মানিকে পিছনে ফেলে বিশ্বের তৃতীয় অর্থনীতির দেশ হয়ে যাবে। আর সেটা হতে গেলে ভারতকে আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। ভারতের অর্থনীতির বৃহত্তম অংশ আসে কৃষি থেকে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি চাষযোগ্য কৃষি জমি আছে ভারতে। আর ভারতের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মাটি সবচেয়ে উর্বর। কিন্তু তবুও এখানকার কৃষকদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। লোকসংখ্যা বেশি হবার কারণে এখানকার কৃষকদের মাথাপিছু জমির পরিমাণ কম। অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে কৃষকদের পক্ষে আধুনিক প্রযুক্তির কৃষি যন্ত্রপাতি কেনাও সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেইজন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার কৃষকদের জন্য নিয়ে এলো সুবর্ণ সুযোগ। কৃষিযন্ত্র ভেদে ৪০-৬০% পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার।
গত ২১/১০/২২ তারিখ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি বিভাগ ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য অনলাইনে আবেদন করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এই সুযোগ পাওয়া যাবে আগামী ১৮/১১/২২ তারিখ পর্যন্ত। যে কোনো কৃষক, কৃষক গোষ্ঠী, কৃষি সমবায় বা সংস্থা মাটির কথা(www.matirkatha.net) ওয়েবসাইটে গিয়ে কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে পূরণ করা আবেদন পত্রের ছাপানো প্রতিলিপি সমস্ত প্রাসঙ্গিক নথিপত্রসহ সংশ্লিষ্ট ব্লক(FSSM ও OTA-SFI-র ক্ষেত্রে)/জেলা(CHC- র ক্ষেত্রে) কৃষিকরণে ২১/১১/২২ তারিখ জমা দিতে হবে(বিকেল ৫ টা)।
প্রয়োজনীয় কৃষিযন্ত্র কেনার সময় সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন ডিলারের কাছ থেকে বাজারদর যাচাই করে কিনতে হবে। পাওয়া টিলার, সোলার পাম্প নিতে আগ্রহী কৃষকদের কমপক্ষে ১.০ একর জমি থাকতে হবে। কম্বাইন্ড হারভেস্ট, ট্রাক্টর প্রভৃতি সমন্বিত কৃষিযন্ত্র ভাড়া কেন্দ্র স্থাপনের জন্য CHC স্কিমে সর্বোচ্চ ভর্তুকি প্রকল্প ব্যয়ের ৪০% পর্যন্ত বা নূন্যতম ৮ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। পাওয়ার টিলার, পাম্পসেট প্রভৃতি শক্তিচালিত যন্ত্রের জন্য FSSM স্কিমে ৫০-৬০% ভর্তুকি বা সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। স্প্রেয়ার, থ্রেশার প্রভৃতি ছোটো যন্ত্রের জন্য OTA-SFI স্কিমে মোট দামের ৫০% বা সর্বোচ্চ ১০০০০ টাকা ভর্তুকি পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পে কৃষক নিজে, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে বা নিকটস্থ সহ-কৃষি অধিকর্তা করণের সহায়তায় আবেদন করতে পারবেন।
কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নথি যাচাই করার পর স্কিম অনুযায়ী প্রাপ্য ভর্তুকির টাকা উপভোক্তার ব্যাঙ্ক একাউন্টে পৌঁছে যাবে। ২০২২-২৩ সালে কৃষি বিভাগ,পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা প্রকাশিত এই সংক্রান্ত গাইড লাইন অনুসারে প্রকল্প গুলি বাস্তবায়িত হবে।