পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৯ সেপ্টেম্বর: প্রায় দেড় কোটি টাকার সোনা পাচারের ঘটনায় ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল বালুরঘাট জেলা আদালত। বৃহস্পতিবার ধৃত মন্টু ভদ্র এবং সুমিত ঘোষকে বালুরঘাট জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, পাসপোর্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে এপারে এসেছিল মন্টু ভদ্র। তার কাছ থেকে হিলি চেকপোষ্টে প্রায় তিন কেজি সোনা উদ্ধার করে শুল্ক দপ্তর। ঘটনায় সুমিত ঘোষ নামে এক ভারতীয়কেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার বাড়ি কলকাতার বেলঘরিয়ায়। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে ধৃতদের কাছ থেকে ওই বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে জোর তদন্তে নামে শুল্ক দফতর। যেখানেই উঠে এসেছে একাধিক তথ্য। ঘটনার তদন্তে নেমে শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা জানতে পারে বাংলাদেশ থেকে ক্যারিয়ার হিসাবে এপারে এসেছিল মন্টু। বেশ কয়েকদিন আগে বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছিল কলকাতার বাসিন্দা সুমিত ঘোষ। যার হাত ধরেই বাংলাদেশ থেকে গোপনে কেজি কেজি সোনা পাচার হচ্ছিল ভারতে। দীর্ঘদিন ধরে এমন কৌশল অবলম্বন করেই রমরমিয়ে সোনা পাচারের কারবার চালাচ্ছিল সুমিত ও তার দলবলেরা। ওইদিন হিলি সীমান্তে ধরা পড়তেই সামনে আসে সোনা পাচারের রহস্য। যেখানে উঠে এসেছে সোনা পাচারের অন্যতম করিডর হিসাবে হিলি সীমান্তের নাম। আর যে তালিকায় উঠে এসেছে হিলির ত্রিমোহিনীর একাধিক পাচারকারীর যোগসাজশ বলে সুত্রের খবর। যে ঘটনারই পূর্ণাঙ্গ তদন্তে নেমেছে শুল্ক দপ্তর।
বালুরঘাট জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী সুদীপ রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, এদিন বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

