আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ৮ সেপ্টেম্বর: শাশুড়িকে ট্রেনে চাপাতে গিয়ে সোনার গয়না ছিনতাই হলো জামাইয়ের। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট স্টেশনে। নিত্যদিন রামপুরহাট স্টেশনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় ক্ষুব্ধ ট্রেনের যাত্রীরা। এই ঘটনায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
রামপুরহাট স্টেশনে মোবাইল, সোনার গয়না, মানি ব্যাগ ছিনতাই এখন নিত্যদিনের ঘটনা। অভিযোগ, পুলিশি নিস্ক্রিয়তার ফলে এই ঘটনা বেড়েই চলেছে। এই ঘটনার জন্য কর্মীর অভাবকেই দায়ী করেছেন রামপুরহাট স্টেশনের জিআরপি ওসি নিত্যরঞ্জন দাস।
জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে শাশুড়িকে রামপুরহাট – অন্ডাল ট্রেন ধরাতে স্টেশনে গিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষক বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়। শাশুড়ির বর্ধমানের উখড়া যাওয়ার কথা। ভিড় ঠেলে শাশুড়িকে ট্রেনে চাপাতেই পিছন থেকে গলার সোনার চেন ছিঁড়ে দৌড় দেয় একজন। বাপ্পাদিত্য বলেন, “কাছেই পুলিশ ছিল, কিন্তু নিষ্ক্রিয়। সিসিটিভি রয়েছে। কিন্তু রেল পুলিশের কথায় সেটাও অকেজো। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রামপুরহাট স্টেশনে ট্রেন ধরতে আসা যাত্রীরা।
জিআরপি’র কাছে শুধুমাত্র অভিযোগ দায়ের করা হল, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে বলে মনে হয় না।”
বাপ্পাদিত্যর দাবি, রবিবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়ে ফেরার সময় তার ভাইপো ট্রেন ধরতে যাওয়ার সময় তার মানি ব্যাগ ছিনতাই করে দুষ্কৃতীরা। মাসখানেক আগে একই দিনে ট্রেনে উঠতে গিয়ে দু’জনের মোবাইল ছিনতাই হয়। তাদের মধ্যে একজন সেন্টু মণ্ডল বলেন, “মাসখানেক আগে নতুন মোবাইল ছিনতাই হয় স্টেশন থেকে। অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।”
নিত্যরঞ্জন দাস বলেন, “যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেখানে সিসিটিভি রয়েছে। কিন্তু ফুলের গাছে সিসিটিভি ঢেকে গিয়েছে। আমি নতুন এসেছি। তার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা আরও সতর্ক হব।”