আমাদের ভারত, ৩ মে: সঙ্গী হিসেবে অনলাইনে পুরুষের সন্ধান করছে নারীরা। ডিভোর্সের একাকিত্ব কিংবা যে কোনো যন্ত্রণায় চোখ দিয়ে জল বের হওয়ার আগেই অনলাইনে পুরুষের খোঁজ করছেন তারা। জাপানে এখন এই রীতি চালু হয়েছে। একা কান্নার চেয়ে সুদর্শন পুরুষের সামনে কান্নায় মনের ভার লাঘব হয় বলে মনে করেন জাপানিদের একাংশ। এজন্য রীতিমতো ব্যবসা শুরু হয়েছে। জাপানি উদ্যোক্তা হিরোকি তেরাই এই নতুন ব্যবসা খুলে বসেছেন।
মেয়েরা কাঁদলে ঝকঝকে চেহারার সুপুরুষ পৌঁছে যাবে তাদের কাছে। কিন্তু কী কাজ করবে তারা? কাজ বিশেষ কিছু নয়। কান্নার সময় সেই মহিলাকে সান্ত্বনা দেওয়া, যত্ন করে চোখের জল মোছানো–এই প্রধান কাজ। এই সুপুরুষদের নাম দেওয়া হয়েছে, ‘হ্যান্ডসাম উইপিং বয়’। জাপানি পরিভাষায় এই পদ্ধতির নাম ‘রুই-কাত্সু’।
কাঁদতে চাইলে অনলাইনে বুক করতে হবে নিজের নাম ও কাঁদার সময়। এরপর এবার সেই ঠিকানায় পৌঁছে যাবেন সুদর্শন যুবক। কান্নার সময় খুব প্রিয় মানুষ সামনে থাকলে আবেগের গতি ও প্রকাশ বিশুদ্ধ হয়, কান্না প্রকাশের ঠিকঠাক মাধ্যম পেলে তা অনেক স্বাস্থ্যকর হয়। দুনিয়াজুড়ে এমন দর্শনে বিশ্বাস করেন অনেকেই। আর এই বিশ্বাসকে মূলধন করেই এই পদ্ধতি চালু করেছেন হিরোকি তেরাই। তাঁর মতে, এই ভাবনার কথা প্রথম মাথায় আসে জাপানি দম্পতিদের ডিভোর্সের সময়ের কথা ভেবে। সেখানে কিছু পুরুষ সপ্তাহ ধরে নানা কাজ ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকায় মেয়েরাই ডিভোর্সের আবেদন করে। তখন সংসার ভেঙে যাওয়ার কষ্ট তাদের উভয়কেই পীড়া দেয়।
কিন্তু সে দুঃখ ভুলে থাকার কায়দা দু’জনের দু’রকম। স্বভাবজাত কারণে সাধারণত পুরুষরা সারাদিন নানা প্রমোদ, বিলাসিতা ও ঘুমিয়ে বা পরের সপ্তাহে কাজের পরিকল্পনা করে কাটিয়ে দেয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে মেয়েরাই কান্নাকাটি করে বেশি। আর তা দেখেই এই ব্যবসার কথা মাথায় আসে তেরাইয়ের। তিনি ভেবে দেখেন, তাদের সামলাতে যদি সামনে কোনো বিপরীত লিঙ্গের মানুষ থাকেন, তাহলে তারা অনেকটা ভরসা পাবেন, কান্নায় সমব্যথী হওয়ার জন্য মনের মতো মানুষ পাবেন। এতে একজন দুঃখী মানুষ সঙ্গীও পাবেন, আবার মেয়েদের মনের চাপও কমবে। কিন্তু এজন্য সুদর্শন পুরুষ কেন? তেরাইয়ের মতে, সামনের মানুষ বদলে গেলে একই ঘটনায় মানুষের আচরণও অনেকটা বদলে যায়। সামনে আকর্ষক কেউ থাকলে মানুষ কোথাও জীবনের প্রতি একটু বেশি আশাবাদী হয়।
I am interested