আমাদের ভারত, হাওড়া, ৬ ফেব্রুয়ারি: প্রেমিকা মাথায় সিঁদুর পরিয়ে একসঙ্গে রেল লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হল কিশোর কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া খড়গপুর সেকশানে উলুবেড়িয়া ও ফুলেশ্বর স্টেশনের মাঝে লতিবপুরে। মৃত কিশোরের নাম রূপম বানু (১৭) ও কিশোরীর নাম স্নিগ্ধা কারক (১৭)। উলুবেড়িয়া জিআরপি মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
জানাগেছে, বাগনানের আনন্দ নিকেতনের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রূপমের সঙ্গে একই ক্লাসের ছাত্রী স্নিগ্ধার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। যদিও এই বিষয়টি রূপমের বাড়ির লোকেরা জানতো না বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। বুধবার, দুপুরে রূপম পড়তে যাওয়ার নাম
করে বাড়ি থেকে বের হয়। পড়ে সে স্নিগ্ধার বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে যাওয়ার পর সেখানে দীর্ঘক্ষণ দুজনের মধ্যে কথাবার্তা হয়। পরে সন্ধ্যেবেলা রুপম ও স্নিগ্ধা একসাথে বাড়ি থেকে বের হয়ে সোজা রেল লাইনের ধারে চলে আসে। এদিকে রাত হয়ে যাওয়ায় স্নিগ্ধা বাড়ি না ফেরায় পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে ফোন করলে সে জানায় কিছুক্ষণের মধ্যে বাড়ি ফিরছে। যদিও তার কিছুক্ষণের মধ্যেই রূপম ও স্নিগ্ধা বিয়ে করে এবং স্নিগ্ধা সেটা ফোনে তার পরিবারকে জানায়। এর পরেই স্নিগ্ধা তার ফোন সুইচ অফ করে দেয় এবং দুজনে একসাথে রেল লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়।
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাত ৮ টা ৫০ মিনিট নাগাদ পাঁশকুড়া লোকালের গার্ডের নজরে আসে বিষয়টি পরে তিনি স্টেশন কর্তৃপক্ষকে জানালে জিআরপি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে।
ঘটনা সম্পর্কে স্নিগ্ধার পরিবারের বক্তব্য সন্ধ্যেয় বন্ধুকে এগোতে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে ফোনে জানায় সে বিয়ে করেছে। আমরা তাকে বলি আমরা বিষয়টি মেনে নেব সে যেন বাড়ি চলে আসে। যদিও এরপর থেকেই তার ফোন সুইচ অফ হয়ে যায় এবং বৃহস্পতিবার সকালে আমরা মর্মান্তিক খবরটা পাই।
অন্যদিকে রূপমের বাড়ির লোকের বক্তব্য, বুধবার দুপুরে পড়তে যাওয়ার নাম করে সে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে বাড়ি না ফেরায় চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু হলে পুলিশ মৃত্যুর খবর দেয়। মর্মান্তিক ঘটনায় দুটি এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে।