যসের মোকাবিলায় ঘাটালে শীলাবতী নদীতেও মাইকে প্রচার করা হচ্ছে

কুমারেশ রায় পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ মে:
আমফানের এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সুপার সাইক্লোন যসের ভ্রুকুটি। ইতিমধ্যে বাংলায় চোখ রাঙাতে শুরু করেছে। এই ঘূর্ণিঝড় এখন শক্তি সঞ্চয় করছে। সমুদ্রের ওপর দিয়ে প্রায় ৭০০কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে, শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলে আছড়ে পড়বে।

জসের মোকাবিলায় প্রশাসন কোমর বেঁধে নেমেছে।
ঘাটাল মহাকুমা এবং ব্লক প্রশাসনে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বিডিওসহ বিভিন্ন আধিকারিকদের ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে যাতে মানুষ যোগাযোগ করতে পারে। এনডিআরএফ এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য। মাইকে প্রচার করে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। এমন কী শীলাবতী নদীতেও নৌকায় প্রচার চলছে। নদীর পাড়ে বসবাসকারী মানুষদের সতর্ক করা হচ্ছে।

যাদের কাঁচা বাড়ি তাদের উপযুক্ত আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। সমস্ত পঞ্চায়েতের হাইস্কুল এবং অন্যান্য স্কুলগুলি এই কাজে ব্যবহার করবে। গর্ভবতী মহিলাদের আগে সরিয়ে নেওয়া হবে। যারা কভিড আক্রান্ত তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব পঞ্চায়েতকে উপযুক্ত পরিমাণ চাল দেওয়া হচ্ছে আশ্রয়প্রাপ্ত মানুষদের খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য। সর্বত্র প্রশাসন প্রচার করছে, যাদের কাঁচা বাড়ি সেই বাড়ি থেকে কাছাকাছি সরকারিভাবে নির্ধারিত আশ্রয়স্থানে উঠে যেতে।

এছাড়াও ট্রিপল শুকনো খাবার, যেমন মুড়ি, চিঁড়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রেখেছে প্রশাসন। গ্রামে সাঁকোগুলির উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়লে যাতে গাছগুলিকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া যায় তার ব্যবস্থাও রাখছে প্রশাসন।

যেহেতু করোনা পরিস্থিতি, এই কারণে ফ্লাড শেল্টারগুলিতে লোকজন যখন থাকবেন, তখন স্বাস্থ্যের দিক নজরে রাখা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে মাস্ক-স্যানিটাইজার, দূরত্ব এগুলি যাতে মানা হয় তা দেখা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *