কুমারেশ রায়, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ জুন: রীতিমতো দিনে দুপুরে পুকুর চুরির অভিযোগ পৌরসভার বিরুদ্ধে।
ছিল পুকুর হয়ে গেল বাস্তু। কোন ম্যাজিকে? জাল বাস্তু সার্টিফিকেট দিয়ে বিল্ডিংয়ের জন্য প্ল্যান পাস করানোর অভিযোগ ঘাটাল পুরসভার বিরুদ্ধে। রীতিমতো অস্বস্তিতে পৌরসভা এবং তার সাথে শাসক দল।
১৬ নম্বর ওয়ার্ডের রাজকুমার সাঁতরার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। তার পর রীতিমতো কাজ শুরু করা হয়েছিল বাড়ি তৈরীর। ঘাটালের ঐতিহ্য সম্পন্ন ছুটি কালচারাল ফোরাম ক্লাব পুরসভা ও বিএলআরও অফিসে অভিযোগ দায়ের করে যে পুকুর থেকে বাস্তু করা হয়েছে সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে।
জানা গিয়েছে, জালিয়াতি করে এবং বেআইনি ভাবে সার্টিফিকেট তৈরী হয়েছে। কিভাবে এত বড় দুর্নীতি? এই বিষয়ে রাজকুমার সাঁতরার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ঘাটাল মহকুমার আদালতের আইনজীবী দয়াময় চক্রবর্তী ৭ লক্ষ টাকা নিয়ে এই বাস্তুর কাগজ করে দিয়েছেন। বিএলআরও থেকে নোটিশ করা করেছিল ৮ জুন ওই দপ্তরে যাওয়ার জন্য।
রাজকুমার সাঁতরার স্ত্রী বিএলআরও অফিসে গেলে দয়াময় চক্রবর্তী বলেন, আপনি চলে যান, না হলে গ্রেফতার হবেন। পরের দিন আবার গেলে বিএলআরও জানান, গতকাল ডেকেছিলাম আজ কথা বলব না।
পুরসভায় গিয়ে প্ল্যান বাতিল করুন না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘাটালের বিএলআরওর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা এরকম সার্টিফিকেট ইস্যু করিনি। অার এই দাগে পুকুরই আছে। পুরসভাতে ডকুমেন্টস দিয়ে প্ল্যান করেছে। পুরসভা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
এই বিষয়ে ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান তুহিন বেরা বলেন, ছুটি ক্লাব অভিযোগ করেছিল, আমরা এই নিয়ে যতটা তদন্ত করা যায় করব। কিন্তু ঘাটাল পৌরসভায় এরকম কাজ কিভাবে হলো সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না ঘাটাল পুরসভার বাসিন্দারা।
তাহলে কি পৌরসভা চোখ বুহজে প্ল্যান পাস করছে না হলে সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে।