আশিস মণ্ডল, সিউড়ি, ১৯ আগস্ট: ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সকলের মধ্যেই বিরাজ করেন। আর এই ভাবনায় সর্বভারতীয় সাংস্কৃতিক সংস্থা সংস্কার ভারতী বীরভূম জেলা সমিতির উদ্যোগে পাইকপাড়া সরস্বতী শিশু মন্দিরে অনুষ্ঠিত হল কৃষ্ণ সাজো প্রতিযোগিতা। শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনকে স্মরণে রেখে ছোট ছোট বিভিন্ন বয়সী শিশুদের নিয়ে কৃষ্ণ সাজো প্রতিযোগিতা দেখতে উৎসাহ ছিল চোখের পড়ার মতো।
খুদে কৃষ্ণদের দেখতে দর্শকদের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া। খুদেদের মধ্যে কেউ বংশীধারী কেউ সুদর্শনধারী কেউবা গোঠের রাখল। ননীচোরা থেকে বাল গোপাল। এমনকি কালী নাগ দমনকারী কৃষ্ণ সাজে শিশুদের অভিনয় নজরকাড়া। সংস্কার ভারতীর এই কৃষ্ণ সাজো প্রতিযোগিতায় দুটি বিভাগে মোট একশো জন অংশগ্রহণ করেছিলেন।
কৃষ্ণের নানা উক্তি, ভাব- ভঙ্গিমায় শিশুদের কৃষ্ণের নানা রূপ দেখে আনন্দিত উদ্যোক্তা থেকে অভিভাবকরা। আর কৃষ্ণ সেজে উপস্থাপন করতে পেরে খুশি শিশুরাও। প্রতিযোগিতাটি দুটি বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়। ‘ক’ বিভাগে প্রথম ঋতম দাস, দ্বিতীয় মনস্বিতা ঘোষ, তৃতীয় ঋতন্যা চট্টোপাধ্যায়, আভাস মিত্র। ‘খ’ বিভাগে প্রথম তনুশ্রী লোহার, দ্বিতীয় শ্রীজিতা চট্টোপাধ্যায়, তৃতীয় সৃঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। প্রত্যেক প্রতিযোগীকে শংসাপত্র উপহার তুলে দেন অতিথিরা। প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় স্থানাধীকারিদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
শ্রীকৃষ্ণের প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বিচারক শিল্পী সারথি দাস, নাট্য ব্যক্তিত্ব উজ্জ্বল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈকত সেনগুপ্ত। প্রতিযোগিতায় জাতি ধর্ম বর্ণের বিভেদ ভুলে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী অভিভাবকরা তাদের শিশুদের শ্রীকৃষ্ণ সাজিয়ে নিয়ে এসেছেন। প্রতিযোগীদের মধ্যে যেমন পরিচারিকার পরিবার থেকে তাদের শিশুকে শ্রীকৃষ্ণ সাজিয়ে এনেছে। তেমন সমাজের উচ্চ বর্ণের পরিবারের বহু শিশু অংশ গ্রহণ করে। মুসলিম পরিবারের সন্তান ও এদিন সুদর্শনধারী শ্রীকৃষ্ণ সেজে মঞ্চে উপস্থিত হয়। ঐ শিশুর প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ এবং সফল উপস্থাপন দর্শকদের নজরকারে।
সংস্থার সম্পাদক সুদীপ কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ভারতের রাষ্ট্র পুরুষ শ্রীকৃষ্ণ আদর্শ শিশুদের মনে প্রতিফলিত হোক এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।” জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বহু শিশুর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি অন্য মাত্রা পায়।
অবিভাবক পারমিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, শিশদের মনে শ্রীকৃষ্ণের যে কোনো গুন প্রকাশিত হোক এই প্রার্থনা।”