আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১০ এপ্রিল: উজ্জ্বলা গ্যাসের লাইনে দাড়ানো নিয়েও দালালরাজ বালুরঘাটে। টাকা ছাড়া লাইনে দাঁড়াতে পারছেন না দূরদুরান্ত থেকে আসা দুস্থ মানুষরা। প্রশ্ন চিহ্নে পুলিশের ভূমিকা।
উল্লেখ্য, লকডাউনে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে উজ্জ্বলা যোজনার গ্রাহকদের বিনামূল্যে গ্যাস দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। যে অর্থ সরাসরি গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। সেই লক্ষ্যেই গ্রাহকরা নিজেদের অ্যাকাউন্টের সাথে আঁধার লিঙ্ক ঠিক আছে কিনা বা মোবাইল নম্বর সঠিক রয়েছে কিনা তা দেখতে ওই গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারে ভিড় জমাচ্ছেন। এই কাজ শুরুর প্রথম দিকে লকডাউন ভেঙ্গে গ্রাহকদের জমায়েত হতেই প্রতিদিন ২০০ জন করে লিঙ্ক দেখার কথা জানানো হয়। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে নির্দিষ্ট দূরত্বে গোল মার্কিং করে দেন ডিস্ট্রিবিউটর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু একসাথে প্রচুর মানুষের চাপ থাকায় দূরদূরান্ত থেকে আসলেও অনেকেই জায়গা ধরতে পারছেন না। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে সকাল থেকে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি সামনের দিকের বেশকিছু অংশ দখল করে রাখছেন। রাত থেকে গ্রাহকরা এসে থাকলেও সকাল হতেই টাকার বিনিময়ে ওই অংশে দাঁড়াতে পারছেন তাঁরা। কারও কাছে ৫০ অথবা কারও কাছে ১০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। টাকা দিতে অক্ষম দুস্থদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। পুলিশের নাকের ডগায় একশ্রেণির অসাধু চক্র বেশ কয়েকদিন ধরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় এমন তান্ডব চালালেও কার্যত নিশ্চুপ পুলিশ প্রশাসন। লকডাউনেও কি করে অসাধু ওই চক্র তাদের কারবার চালাচ্ছেন সেই বিষয় নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বালুরঘাটের পাওয়ার হাউজ এলাকার গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটর সন্তোষ চৌধুরী । তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে এত কাজের চাপ যে তাঁরা গ্রাহকদের লাইন কন্ট্রোল করতে পারছেন না। টাকা নেওয়ার ঘটনা তিনি পুলিশ কর্মীদের কাছ থেকেই শুনেছেন। তবে কারা করছে আর কিভাবে করছে সেব্যাপারে নজর দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। মানুষ অযথা আতঙ্কিত হয়ে রাত জেগে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে এসব করছেন।
ববি শীল নামে এক গ্রাহক জানিয়েছেন, রাত জেগে অনেকেই লাইন দেওয়ার চেষ্টা করছেন । কিন্তু আগে ভাগেই স্থানীয় কিছু মানুষ তা দখল করে রাখছেন। টাকার বিনিময়ে সেই জায়গা নিতে হচ্ছে। পুলিশের সামনে এমন ঘটনা ঘটলেও তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।