আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ১০ জানুয়ারি:
ইতিমধ্যেই গত পরশু অর্থাৎ বুধবার সরকারি ভাবে উদ্বোধন হয়েছে ২০২০ সালের গঙ্গাসাগর মেলার। পূণ্যার্থীও মেলা প্রাঙ্গণে আসতে শুরু করেছেন। তবে সংক্রান্তি তিথিতে প্রচুর পরিমাণে জনসমাগম এই মেলায় হবে বলেই দাবি দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসনের।
এবছর ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ্য মানুষ গঙ্গাসাগর মেলায় আসবেন বলেই দাবি করেছেন জেলাশাসক ডঃ পি উলগানাথন।
এবারে কোথাও পূর্ণ কুম্ভমেলা না থাকার কারণে এই গঙ্গাসাগর মেলায় পূণ্যার্থীদের ভিড় বাড়বে বলেই অনুমান প্রশাসনের। সেই কারণে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর। মেলায় এসে যাতে পূণ্যার্থীদের কোনও রকম অসুবিধার মধ্যে না পড়তে হয় সেই কারণে বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা বলয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। পাশাপাশি এবারের মেলাকে অনেকটা ডিজিটাল ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। ২০২০ সালের গঙ্গাসাগর মেলাকে ইকো ফ্রেন্ডলি ও প্লাস্টিক মুক্ত মেলা হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।
পাশাপাশি মুড়ি গঙ্গার নাব্যতা বাড়ানো হয়েছে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে। এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় আসা যাওয়ার জন্য সাড়ে তিন হাজারের বেশি বাসের ব্যবস্থা করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। নতুন রূপে এবারের মেলা প্রাঙ্গনকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই মেলাতে হাজার হাজার পুন্যারথী আসতে শুরু করেছেন প্রতিদিন। আগামী ১৪ই ও ১৫ই জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি তিথিতে সব থেকে বেশী পূণ্যার্থী গঙ্গাসাগর মেলায় ভিড় জমাবেন বলে আশাবাদী প্রশাসন। তবে সংক্রান্তির সময়ের ভিড় এড়াতে বহু পূণ্যার্থী ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গনে এসেছেন ও সাগরে ডুব দিয়ে কপিল মুনির মন্দিরে পুজো দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
অন্যদিকে এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় প্রচুর অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে মেলায়। গঙ্গাসাগর মেলার জন্য অতিথি পথ নামের মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেছে জেলা প্রশাসন। মেলায় এসে যাতে শিশু ও বয়স্করা হারিয়ে না যান সেই কারণে বারকোড সম্বলিত রিষ্টব্যান্ড এর ব্যবহার করা হচ্ছে। তেমনি মোবাইল টাওয়ারের সমস্যা এড়াতে ইতিমধ্যেই সাগর সঞ্চার নামে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও এই মেলায় যে সমস্ত মানুষ আসতে পারবেন না, গঙ্গাস্নান করতে পারবেন না তাদের জন্যই স্নানের ব্যবস্থা ও করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসন। বাড়িতে বসে অনলাইনে এপ্লাই করলেই গঙ্গাসাগরের জল ও কপিল মুনির মন্দিরের প্রসাদ পেয়ে যাবেন কুরিয়ারের মাধ্যমে। শুধু মাত্র কুরিয়ার চার্জই দিতে হবে এর জন্য।