সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৪ ডিসেম্বর: নতুন অঞ্চল সভাপতির নাম ঘোষণা হতেই তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। এর ফলে অস্বস্তিতে জেলা নেতৃত্ব। দলীয় কোন্দলকে ঘিরে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসক দল তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে চলেছে। গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের লছমনপুরে তৃণমূলের নতুন অঞ্চল সভাপতির নাম প্রকাশ্যে আসতেই দলেরই কর্মীদের একাংশ ক্ষোভে সরব হয়ে ওঠেন। টাকা নিয়ে দলীয় এই পদ বিক্রি করা হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলেছেন এলাকার নিচুতলার কর্মীরা। অবিলম্বে অপসারিত অঞ্চল সভাপতিকে দায়িত্বে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তারা। এনিয়ে প্রয়োজনে তারা দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
অন্যদিকে বিষয়টিকে তেমন আমল দিতে নারাজ নব নির্বাচিত অঞ্চল সভাপতি। তবে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিজেপির দাবি, গোটা দলটাই দুর্নীতিতে যুক্ত। দুর্নীতির টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়েই এখন দলের অন্দরেই এই দ্বন্দ্ব।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের সভাপতি পদে রদবদল করা হয়েছে। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের লছমনপুর অঞ্চলে দলের সভাপতি পদ থেকে দিলীপ মণ্ডলকে সরিয়ে বসানো হয়েছে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সভাকর মণ্ডলকে। এতেই ক্ষুব্ধ এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। এই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত প্রধান থাকাকালীন সভাকর মণ্ডল তৎকালীন অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে যোগসাজস করে ব্যপক দুর্নীতি করেছেন। দলের কর্মীদের সামান্য সম্মানটুকুও দেননি। টাকা নিয়ে অঞ্চল সভাপতি পদ বিক্রি করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে তৃণমূল কর্মীরা বেলাপাড়া গ্রামে বিক্ষোভ দেখান। তাদের দাবি, অবিলম্বে অঞ্চল সভাপতি বদলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে তারা এবিষয়ে রাজ্য নেতৃত্বের দ্বারস্থ হবেন। যদিও নতুন অঞ্চল সভাপতি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তার পাল্টা দাবি, নিজেদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হওয়ার কারণেই তৃণমূলের ওই অংশ বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।
বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির কথায়, তৃণমূলের এই কোন্দল আসলে দুর্নীতির টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বেরই ফসল। তারা ক্ষমতা পেলেই দুর্নীতিতে মেতে ওঠেন।

