আমাদের ভারত,২৯ নভেম্বর: কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে সারা রাত ধরে ১২ জন মিলে ধর্ষণ করল এক আইন ছাত্রীকে। একদিকে যখন হায়দ্রাবাদে মহিলা পপশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করার ঘটনায় উত্তাল হয়েছে দেশ তখনই আরও একটি নৃশংস ঘটনা ঘটে গেল রাঁচিতে। বছর ২৫ র এক আইনি ছাত্রীকে কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে ১২ জন মিলে ধর্ষণ করল তার আবার হাই সিকিউরিটি ভিআইপি জোনে। মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রাঁচির হাইসিকিউরিটি ভিআইপি জোনে ঘটে যাওয়া এই গনধর্ষণের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। রাঁচির কাঙ্কে পুলিশ স্টেশনে ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ধর্ষিতা ও তার পরিবার।
জানা গেছে ২৬ নভেম্বর বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বন্ধুদের সঙ্গে রাঁচির উপকণ্ঠে সংগ্রামপুর এলাকায় গিয়েছিল ওই তরুণী। ফেরার পথে বাইকে করে আসা দুই আঁততায়ী তাকে অপহরণ করে। বন্ধুরা আটকাতে গেলে তাদের মারধরও করা হয়। তরুনীর কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে রেখেছিল ওরা।
তারপর ওই তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয় রাঁচির ভিআইপি জোনে একটি ভাঙা বাড়িতে। সেখানেই একের পর এক ১২ জন ধর্ষণ শুরু করে। দুর্বিষহ ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের মাত্র ১০কিলোমিটার দূরে। এছাড়াও ওই এলাকায় ঝারখনডের হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ,ডিজিপি, বিরোধী দলনেতা ও একাধিক মন্ত্রী আমলাদের বাড়ি।
তরুণী জানায় যে মোটর বাইকে করে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল মাঝরাস্তায় তার তেল রাস্তায় ফুরিয়ে যায়। এরপর আরও কয়েকজন একটি গাড়ি নিয়ে আসে সেখানে। সেই গাড়িতে করে এরপর ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে যায়। তারপর একটি ভাঙা বাড়ির পেছনে নিয়ে গিয়ে 12 জন মিলে ধর্ষণ করে তাকে।
পরেরদিন ভোরে গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণী থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে জানান।
তরুনীর অভিযোগের ভিত্তিতে ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। জেরায় ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্তরা।
মেয়েটিকেহাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সাংঘাতিক নির্যাতন চালানো হয়েছে মেয়েটির ওপর বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। ছিঁড়েখুঁড়ে গেছে তার যোনি।বেধড়ক মারধরও করা হয়েছে ওই তরুণীকে। সারা শরীরে দগদগে ক্ষত রয়েছে ধর্ষিতার।
বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা হয়ে গেছে। আগামীকাল পাঁচ দফায় ভোট ঝাড়খন্ডে। তার আগে এই ঘটনার বিভৎসতা নাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসনকে।