সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২২ আগস্ট: পুজোর গন্ধ শুরু হয়ে যায় গণেশ চতুর্থী থেকেই। আজ সেই গণেশ চতুর্থী। করোনা আবহের মধ্যে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় পুজোর আয়োজন নেই বললেই চলে। সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো দিয়ে শুরু হয় সকল দেবতাদের আরাধনারক্ষণ। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন জায়গায় গণেশ চতুর্থী ধুমধাম করে পালিত হত। এই জেলার মছলন্দপুর, হাবরা, গোবরডাঙ্গা, অশোকনগর, গাইঘাটা, ঠাকুরনগর ঘুরে দেখা গেল মাত্র গুটিকয় পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। গোবরডাঙা থানা এলাকার মধ্যে দুটি পুজো হচ্ছে। গোবরডাঙ্গা থানার পাশে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মনসাতলায় প্রত্যেক বছরের মতো এবছর পুজো হচ্ছে, তবে জাঁকজমকে একেবারে সাদামাটা।

অন্যদিকে, স্টেশন রোডেও একটি পুজো হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনের চাপের মধ্যেও মনসাতলার বাসিন্দারা গণেশের আরাধনা করতে পিছিয়ে আসেননি। এখানকার এলাকার মহিলারা সকাল থেকেই পুজোর কাজে নেমে পড়েছেন। সকলে মিলে মণ্ডপে সিদ্ধিদাতা গণেশের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করছেন। সেইসঙ্গে অতিমারী করোনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঈশ্বরের কাছে কামনা করছেন, সকলে যেন সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে বাস করতে পারেন। পূজার্চনার এরকম বহর দেখে মছলন্দপুর এবং ঠাকুরনগরের ফুল বাজারের ব্যবসায়ীরা এবার ক্ষতির মুখে। যে ফুল কয়েকদিন আগেও একশো থেকে দেড়শ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল সেখানে গণেশ চতুর্থীর দিন সেগুলি বিক্রি হচ্ছে দশ থেকে কুড়ি টাকা কেজি দরে। তাই এবারে মনে করা হচ্ছে দুর্গাপুজোয় জাঁকজমকে বেশ ঘাটতি থেকেই যাবে।

