সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১১ মার্চ: আট হাজারের বেশি স্কুল বন্ধ করে দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। যে স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩০-এর কম। আর ছাত্র ছাত্রীদের অভাবে রাজ্যে বন্ধ হতে চলেছে স্কুলগুলি। আর বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলের তালিকার মধ্যে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ব্লকের বেলেডাঙ্গা এফপি স্কুল। প্রায় ৬৫ বছরের পুরনো এই স্কুলটি। অতীতে প্রচুর ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ছিল এই স্কুলে। তবে বর্তমানে সেই সংখ্যাটি ৩০-এ এসে দাঁড়িয়েছে। আর যার জেরে কোপ পড়ছে এই স্কুলটির ওপরে। স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখায় অভিভাবক থেকে গ্রামবাসীরা।

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্কুলে মাত্র তিনজন শিক্ষক৷ পঠন পাঠনের হাল খুব খারাপ৷ অতীতে এই স্কুলে প্রচুর ছাত্র ছাত্রী থাকলেও বর্তমানে তার সংখ্যা মাত্র ৩০-এ এসে দাঁড়িয়েছে৷ এই এলাকা থেকে আশপাশের স্কুলের দূরত্ব পায়ে হেঁটে প্রায় দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার৷ কৃষক ও গরিব মানুষ বাস করেন এই এলাকায়৷ স্কুল উঠে গেলে সমস্যায় পড়বেন তারা। তাই স্কুলের পঠন পাঠনের মান উন্নত করে স্কুলের শিক্ষকের সংখ্যা বাড়িয়ে স্কুলটি চালু রাখার দাবিতে শনিবার সকালে পোস্টার ব্যানার হাতে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা৷
এই বিষয়ে স্থানীয় গ্রামবাসী কণিকা গোলাদার, উৎপল মণ্ডল, রাজু মণ্ডলরা বলেন, “বহু বছর ধরে স্কুলটি চলছে এখানে। আমরাও এখানে পড়াশোনা করেছি। আমাদের ছেলে মেয়েরাও পড়ছে। এখন হঠাৎ করে শুনছি যে স্কুলটি নাকি বন্ধ করে দেওয়া হবে। কারণ পড়ুয়া নেই। কিন্তু এভাবে হঠাৎ করে বন্ধ করলে আমাদের ছেলে মেয়েরা যাবে কোথায়? তাহলে তাদের পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে হবে”। তাই স্কুলটি বন্ধ না করে বরং এই স্কুলের পঠন পাঠনের মানোন্নয়ন ও পর্যাপ্ত শিক্ষক দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকার মানুষ৷

সম্প্রতি রাজ্য শিক্ষা দফতর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা গিয়েছে রাজ্যের প্রায় আট হাজারের বেশি স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা ৩০-এরও কম। কেন পড়ুয়া সংখ্যা এত কম, তা অনুসন্ধানের প্রাথমিক পর্ব চলছে। তাই রাজ্য লজুড়ে গুঞ্জন উঠেছে এই স্কুলগুলি ধীরে ধীরে তুলে দেওয়া হতে পারে। এই তালিকায় বেশিরভাগ রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে শুধুই প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়, তালিকায় স্থান পেয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয় পর্যন্ত।

