আমাদের ভারত, ২৫ জুলাই: পশ্চিমবঙ্গের মাটির তলায় লুকিয়ে ছিল বিপুল খনিজ সম্পদ। রানাঘাট ও কাঁকপুলে তার হদিশ মিলেছে। সংসদে কেন্দ্রীয় সরকার এই দুই জায়গায় বিরাট জ্বালানি ভান্ডার পাওয়ার কথা জানিয়েছে। যার বাজার মূল্য ৪১ হাজার কোটি টাকার বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে বিপুল শক্তি ভান্ডার রাজ্যের অর্থনীতিতে বড় রকম ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বাড়বে রাজস্ব আয়। নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা আরো মজবুত হবে।
অশোকনগরের পর আরো দুটি তেল ও গ্যাস ব্লকের সন্ধান পাওয়া গেছে। যার ফলে বদলে যাবে দেশের অর্থনীতির চেহারা। এই খনিজ সম্পদ উত্তোলনে মাঠে নামছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ওএনজিসি। সম্প্রতি সংসদে বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই জানিয়েছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক।
সম্প্রতি রাজ্যসভায় দেশের খনিজ সম্পদ বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন শমীক। তার জবাবে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকপুল ও নদিয়া জেলার রানাঘাটে বিরাট জ্বালানি ভান্ডার পাওয়া গেছে। এই দুই ব্লকে আনুমানিক ০.৯৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন খনিজ সম্পদ রয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ৪১ হাজার ৭০ কোটি টাকা। ওএনজিসির অধীনে ডাব্লু বি ওএনএন ২০০৫/ ৪ নম্বর ব্লকে এই সম্পদ আবিষ্কৃত হয়েছে। কেন্দ্র আশা করছে এই আবিষ্কার দেশের জ্বালানি শক্তির ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করবে।
এর আগে অশোকনগরে বিরাট তেলের খনির হদিশ পেয়েছে ওএনজিসি। সেই মতো খনন কার্য শুরু হয়। ৩৮০৫ মিটার খননের পর আপাতত যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য খনন কাজ বন্ধ আছে। অন্যদিকে কাঁকপুল ও রানাঘাটে যথাক্রমে ২৭৩০ মিটার ও ২৭১৯ মিটার খনন কার্য হয়েছে। যেখানে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে ইতিমধ্যেই। সংসদে লিখিত জবাবে এদেশের জ্বালানি সংক্রান্ত বিষয়ে বিশদ তথ্য তুলে ধরেছে সরকার।
অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে বিপুল পরিমাণ খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ভান্ডার থাকার অনুমান করছে ওএনজিসি। সেই লক্ষ্যেও শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক খনন কাজ। বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার বেগমপুর পঞ্চায়েতের ২০০ কলোনি এলাকায় এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। তার জন্য কৃষকদের কাছ থেকে তিন বছরের চুক্তিতে জমি নেওয়া হয়েছে।