paracetamol, antibiotics, প্যারাসিটামল থেকে সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক, প্রেসারের ওষুধ, গুণমান পরীক্ষায় পুরো ফেল

আমাদের ভারত, ৫ মার্চ:জীবনদায়ী ওষুধেই বিষ লুকিয়ে রয়েছে। কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সিডিএসসির পরীক্ষায় পুরো ফেল করেছে ১৪৫টি ওষুধের ব্যাচ। এরমধ্যে রয়েছে বহুল ব্যবহৃত প্যারাসিটামল অ্যামোক্সিসিলিন, ফ্লোক্সোসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটি। তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিটিক্যালস রিঙ্গার্স ল্যাকট্যাটের মতো ১৬ টি ব্যাচের নামও। এই ব্যাচ গুলি জীবাণুমুক্ত নয় বলে জানা গিয়েছে কর্ণাটক স্টেট ল্যাবের পরীক্ষায়।

জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সিডিএসইও ১৪৫টি মেডিসিন ব্যাচকে প্রত্যাশিত গুণমানের নয় বলে চিহ্নিত করেছে। এই ১৪৫টি ওষুধের মধ্যে ৯৩ টি প্রত্যাশিত গুনুমানের নয় বলে চিহ্নিত হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের ল্যাবে। বাকি ৫২ টি ওষুধ পরীক্ষা করা হয়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগারে। জানুয়ারি মাসে সেই রিপোর্টে চোখ কপালে উঠেছে সকলের।

কি কি ওষুধ রয়েছে তালিকায়? বিভিন্ন রোগের মোকাবিলায় বাজারে যেসব ওষুধ বিক্রি হয়, নিয়মিত তার পরীক্ষা চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা সিডিএসই। তাতেই দেখা গেছে জ্বর, গ্যাস, ব্যথার একাধিক ওষুধ পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। এর মধ্যে রয়েছে প্যারাসিটামল ৬৫০, অ্যামোক্সিসিলিন, সেট্রিজিন, নরফ্লোক্সোসিন এর মত। বহুল ব্যবহৃত ওষুধ। এছাড়াও রয়েছে অন্ডেম প্যান্টোপ্রাজল গ্রুপের একাধিক ওষুধের ব্যাচ। পশ্চিমবঙ্গের ফার্মাসিউটিক্যালস রিঙ্গার্স লেকট্যাটের ১৬ টি ব্যাচের নামও রয়েছে তালিকায়। এগুলি জীবাণুমুক্ত নয়।

গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে সিডিএসসি এর গুনগত মানের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিল ৫৩ টি ওষুধ। যেখানে প্যারাসিটামল ছাড়াও ক্ল্যাভাম ৬২৫ এর মতো বহুল পরিচিত অ্যান্টিবায়োটিক ও প্যানডির মতো বহুল ব্যবহৃত হজমের ওষুধ, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-র ৩ সাপ্লিমেন্ট, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার ওষুধ থেকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার ওষুধও বিপদজনকের তালিকায় ছিল। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে বহু জনপ্রিয় সব ওষুধ যদি গুণগতমানের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয় তাহলে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য কতটা নিরাপদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *