আমাদের ভারত,২৮ নভেম্বর: হিন্দি ইংরেজির সাথে
গুজরাটিতে হোক জয়েন্ট এন্ট্রান্স আপত্তি নেই। কিন্তু গুজরাটির ছাড়া বাংলা সহ বাকি ভাষা গুলি কেন ব্রাত্য থাকবে জয়েন্ট এন্ট্রান্সে? তা নিয়ে প্রতিবাদে মুখর হয়েছিল তৃণমূল, সিপিএমের বিরোধীরা। এন্ট্রান্সে বাংলা অন্তর্ভুক্ত করা না হলে রীতিমতো আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই জয়েন্ট পরীক্ষাতে যুক্ত হলো বাংলা। তবে ২০২০ তে নয় বাংলা ভাষায় পরীক্ষা হবে ২০২১ থেকে।
শুধু বাংলায় নয় ২০২১ সাল থেকে মোট ১১ টি ভাষায় হবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা। বাংলা ছাড়াও যে ভাষায় এন্ট্রান্স হবে সেগুলি হল, অসমীয়া, ইংরেজি, গুজরাতি, হিন্দি, মারাঠি, ওড়িয়া, তামিল, তেলেগু, উর্দু।
কিছুদিন আগে জানা গিয়েছিল জয়েন্ট এন্ট্রান্সে আঞ্চলিক ভাষার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে গুজরাটিকে। আর তা শুনেই প্রতিবাদে মুখর হল তৃণমূল নেত্রী। বিরোধিতা করে ছিল বাম শিবিরও। এরপর কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছিল যে পশ্চিমবঙ্গের তরফ থেকে কোনো আবেদন জানানো হয়নি জয়েন্ট এন্ট্রান্সে বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। আর সেই জন্যই বাংলা ভাষায় পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেনি কেন্দ্র।
এরপর রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর এন টি এ-তে বাংলা ভাষাকে যুক্ত করার আবেদন জানায়। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী জানায় ১১টি ভাষায় পরীক্ষা নেওয়া হবে, কিন্তু সেটা ২০২১ সাল থেকে। আর তাতেই যুক্ত হয়েছে বাংলা। ইতিমধ্যেই ২০২০ সালের প্রশ্নপত্র তৈরি হয়ে গেছে। তাই এ বছর আর বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হলো না।
জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে গুজরাটি ছাড়া অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষা গুলি কেন ব্রাত্য? তাই নিয়ে প্রতিবাদ জানায় তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, “গুজরাটি ভাষায় আমার কোন আপত্তি নেই কিন্তু বাংলা বা অন্যান্য ভাষা গুলি ব্রাত্য থাকবে কেন? বাংলা সহ অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষাতেও চালু করতে হবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স”।
দীর্ঘদিন ধরে সর্বভারতীয় জয়েন এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ইংরেজি এবং হিন্দি ভাষায় প্রশ্নপত্র তৈরি হয়। পরীক্ষার্থীরা ওই দুটি ভাষাতেই উত্তর দিতে পারতেন। কিন্তু আঞ্চলিক ভাষায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিতে এবছর গুজরাটি ভাষা কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে তৈরি হওয়ার ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির এই নির্দেশিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এই নির্দেশিকা ঘিরে রীতিমতো হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন নেত্রী।