আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২৬ মার্চ: রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে হত্যালীলার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেআইনি অস্ত্র ও বোমা উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন পুলিশ প্রশাসনকে। সেই নির্দেশ মতোই অস্ত্র ও বোমা উদ্ধারে জোর দিল জগদ্দল থানার পুলিশ। বোমাবাজি, দুষ্কৃতী তাণ্ডব এখন নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে গেছে ভাটপাড়াতে। তাই জগদ্দল থানার পুলিশ আরো বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সারা রাত ধরে চালাচ্ছে পুলিশি অভিযান।
শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জগদ্দলের গোলঘর জিলিপি মাঠের ধারে একটি বিশালাকার বট গাছের ফাঁক-ফোকর থেকে আটটি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। গত শুক্রবার ভোরে শ্যামনগর প্রভাতী সংঘ মাঠ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক দুষ্কৃতিকে পুলিশ পাকড়াও করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অস্ত্র ও বোমা উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান জারি থাকবে।
অপর দিকে কাঁকিনাড়ার সাধুর মাঠ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে জগদ্দল থানার পুলিশ।
শুক্রবার রাতে দুষ্কৃতীদের পাকরাও করার অভিযানে বেড়িয়ে ভাটপাড়া থানার পুলিশ হানা দেয় কাঁকিনাড়ার সাধুর মাঠে। সেখান থেকে পুলিশ বাপটু সরকার ওরফে বুবাই ও আখিল মজুমদারকে গ্রেপ্তার করেছে। বাপটুর কাছ থেকে পুলিশ একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং অখিলের কাছ থেকে লোহার রড উদ্ধার করেছে। পুলিশের দাবি, ডাকাতির উদ্দেশ্যে ওরা জড়ো হয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দিয়ে দু’জনকে পাকড়াও করে পুলিশ। তবে পুলিশের এহেন অভিযানে সস্তির নিশ্বাস নিতে পেরেছে ভাটপাড়া ও জগদ্দলের বাসিন্দারা।