রাজেন রায়, কলকাতা, ১ জুলাই: মাত্র তিন মাসেই দেশজুড়ে চূড়ান্ত মহামারী পরিস্থিতি তৈরি করেছে করোনা ভাইরাস। সংক্রমণ আর মৃত্যুর করাল গ্রাসে থমকে গিয়েছে মানুষের জীবন-জীবিকা। তাই এই আবহে মানুষ যাতে খেয়েপরে বাঁচতে পারেন, তার জন্য নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই নিজেদের ‘গরিবের মসিহা’ হিসেবে তুলে ধরে ২০২১ বিধানসভা ভোটের আগে বঙ্গে রাজনৈতিক জমি তৈরির আশায় ছিল বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু ১০ মিনিটে সেই আশা চুরমার করে দিয়ে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ২০২১ জুন পর্যন্ত রেশনে ৫ কেজি করে চাল ও আটা বিনামূল্যে দেওয়া হবে। স্বাভাবিক ভাবেই রেশন রাজনীতির পালটা টক্করে ক্ষুব্ধ বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। যেন তাঁরই সুর ঝরে পড়ল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের ট্যুইটে।
প্রথমে প্রধানমন্ত্রী চাল দেওয়ার প্রশংসা করেছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার বিনামূল্যের রেশন সময়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এফসিআই এবং নাফেড প্রশংসার যোগ্য। ৯ লক্ষ ২ হাজার ৮২৩ মেট্রিক টন চাল এবং ২০ হাজার ২৭ মেট্রিক টন ডাল এসেছে। যার মূল্য ৩৯৩১ কোটি টাকা।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1278195026887979008?s=19
তাঁরপরই ক্ষোভ ব্যক্ত রাজ্যপাল তাঁর টুইটে লিখেছেন, ‘দেখবেন রাজ্যে রেশন যেন কাট খাওয়া না হয়। এখান কার রেশন ব্যবস্থার রাজনীতিকরণ দেখে চিন্তায় আছি। গরিব মানুষের প্রাপ্য কালোবাজারে এবং শাসকদলের কর্মীদের কাছেই চলে যায়।’
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1278195170291224576?s=19
মুখ্যমন্ত্রী ও আমলাদের উদ্দেশ্য করে রাজ্যপালের বক্তব্য, ‘রেশন ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক খাঁচা থেকে মুক্ত করুন। মানুষের সেবায় লাগান। নিজেদের দায়িত্ব পালনে আমলারা সতর্ক থাকুন। আইন আপনাদের ছাড়বে না।’
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1278195448247750656?s=19